প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেছেন, ‘গত ১৭ বছরে সবগুলো এপয়েন্টমেন্ট এমনকি পিওনের এপয়েন্টমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রেও এমপি মন্ত্রীদের ডিও লেটার নিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই না? সেই বাস্তবতায় পরিচ্ছন্ন ইমেজের একজন মানুষকে যখন এক জায়গায় বসাতে চেষ্টা করবেন, সে জায়গায় তাকে হয়তো হাতে পায়ে ধরে বলা। অনেক সময় অনুরোধ করতে হচ্ছে।’ তিনি সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেছেন।
ওই টক শোর উপস্থাপকের প্রশ্ন ছিল এরকম— শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, এ সময় যারা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারা দায়িত্ব চেয়ে নেননি। আমরা হাতে পায়ে ধরে তাদের দায়িত্ব দিয়েছি। উপাচার্যদের নিয়োগ আসলে হাতে পায়ে ধরে হয়েছে নাকি কেউ তাদের দয়া করে বসিয়েছে? ভবিষ্যতে এসব নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে কি না?
এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়েজ আহম্মদ বলেন, ‘আজ যা হচ্ছে, এখন যা হচ্ছে এ সব বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে। সবকিছু নিয়ে সবসময় ভবিষ্যৎ আপনার কাছে অবধারিত এবং উন্মুক্ত থাকবে। প্রশ্ন তোলার জন্যই এবং এই প্রশ্ন তোলার সংস্কৃতিটা থাকুক সেটা গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য খুব জরুরি। সুতরাং আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, এমন এক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গেছে, যেখানে আমরা দেখেছি যে, পদোন্নতি প্রমোশনের জন্য মানুষের হুড়ুহুড়ি লেগেছে, কোন কোন জায়গায় ঠিক যোগ্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না। এই বাস্তবতা তো আছে। গত ১৭ বছরে সবগুলো এপয়েন্টমেন্ট এমনকি পিওনের এপয়েন্টমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রেও এমপি মন্ত্রীদের ডিও লেটার নিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই না? তো সেই বাস্তবতায় আপনি যখন একজন অন্তত পরিচ্ছন্ন ইমেজের একজন মানুষকে এক জায়গায় বসাতে চেষ্টা করবেন। সে জায়গায় তাকে হয়তো হাতে পায়ে ধরে বলা। অনেক সময় অনুরোধ করতে হচ্ছে। নানান জনকে অনুরোধ করে রাজি করাতে হচ্ছে। এই বাস্তবতায় অনুরোধ করে কেন রাজি করাতে হয়েছে এটা নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতেই পারে। নিশ্চয়ই ভবিষ্যতের সেই প্রশ্নের সময়কার প্রেক্ষাপট তো হারিয়ে যাবে না, প্রেক্ষাপটটা সামনে আসবে।’
আরআর/এসএন