ভোটজ্বরে আক্রান্ত ফুলেরায় সচিবজি-রিংকির একটা চুম্বনদৃশ্য হল না? ‘পঞ্চায়েত ৪’ দেখে শেষ করার পর দর্শকদের একটাই আক্ষেপ! এবারের গল্পের প্লটে দর্শকদের একাংশ আশাহত হয়েছেন সচিবজি আর রিংকির রোম্য়ান্স না দেখানো নিয়ে। চলতি কথায় অনেকে বলছেন, ‘এ তো বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না’ গোছের ব্যাপার। তবে নির্মাতারা কিন্তু চেয়েছিলেন ‘পঞ্চায়েত’-এর চতুর্থ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সচিবজি-রিংকির রগরগে প্রেম, রোম্যান্সটা দেখাতে। তাহলে বাদ সাধল কোথায়? সম্প্রতি উত্তরটা নিজেই দিয়েছিলেন সানভিকা। পর্দায় চুমু খাওয়াতে তাঁর ‘এলার্জি’ রয়েছে। আর সেই কারণেই নির্মাতাদের বাধ্য হয়ে চিত্রনাট্য বদলে ফেলতে হয়। রিংকি সানভিকা নাকি সচিবজিকে চুমু খেতে রাজিই হননি! এপ্রসঙ্গে কী বলছেন জিতেন্দ্র কুমার?
চুমু নিয়ে তরজা কেন? প্রথমেই কৌতূহলী জিতেন্দ্র। স্বাভাবিক ‘পঞ্চায়েত ৫’ সিজনে কী হয়, সেটা দেখার জন্য যখন অপেক্ষা, তখন মধ্যিখান থেকে রিংকির সঙ্গে তাঁর না হওয়া চুম্বন দৃশ্য নিয়ে এত চর্চা কেন? এমন প্রশ্ন তোলা স্বাভাবিক। তবে সচিবজি ব্যক্তিগতজীবনেও মেপেজুপে চলেন। আইটি পড়ুয়ার ভাগ্যচক্রে বিনোদুনিয়ায় পর্দাপর্ণ। অতঃপর এসব আলোচনায় কিঞ্চিত বিরক্ত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এবার সেই চর্চিত না হওয়া চুম্বন দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন নিজেই। জিতেন্দ্রর মন্তব্য, “আমার মনে হয়, সানভিকার মন্তব্যটা নিয়ে অযথা চর্চা হচ্ছে। নির্মাতারা যখন আমাকে ওই দৃশ্যটির কথা জানিয়েছিলেন, আমি প্রথমেই সানভিকার মত নিতে বলি। ওঁর অনুমতি আগে প্রয়োজন। আমরা একটু অদ্ভূতভাবে দৃশ্যটাকে মজার করে তুলতে চেয়েছিলাম আসলে। তবে ঘটনাচক্রে, ওই রোম্যান্টিক দৃশ্যটা অন্যভাবে শুট করতে হয়।” বলাই বাহুল্য রিংকি চুমু খেতে রাজি না হওয়াতেই চিত্রনাট্য বদলাতে হয়েছিল এক্ষেত্রে। সেই সাক্ষাৎকারেই সচিবজি আরেকটা বোমা ফাটালেন!

জিতেন্দ্র জিতেন্দ্র কুমারের সংযোজন, “আমি তো আয়ুষ্মান খুরানাকেও চুমু খেয়েছিলাম। সেটা ‘শুভমঙ্গল জাদা সাবধান’ ছবির সময়ে। এর আগে বহু অভিনেত্রীকেও পর্দায় চুমু খেয়েছি। আসলে একজন অভিনেতা হিসেবে চুমুর ক্ষেত্রে আমার কোনও ছুঁৎমার্গ নেই। তবে সে চুমু হোক বা কোনও ঘনিষ্ঠ দৃশ্য, সেটার যেন গল্পের সঙ্গে সাযুজ্য থাকে। গল্পটা দেখে দর্শকরা যেন উপভোগ করেন। তার সঙ্গে একাত্ম হতে পারেন। আমার কাছে এটাই বড় বিষয়।”
সম্প্রতি ‘জাস্ট টু ফিল্মি’ নামের এক ইউটিউব চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে সানভিকা জানান, “গল্পটা আমাকে শোনানোর সময়ে কেউ বলেনি যে এমন একটা চুম্বন দৃশ্য থাকবে। তবে পরে পরিচালক অক্ষত আমার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন।
উনি বলেছিলেন, এই সিজনে আমরা একটা ঘনিষ্ঠ দৃশ্য রেখেছি। যেখানে সচিবজি আর রিংকি একে-অপরকে চুমু খাবে। প্রথমটায় ওই সিকোয়েন্স শুট করার পরিকল্পনাটাই অন্যরকম ছিল। বলা হয়েছিল, দুজনেই একটা গাড়িতে বসে থাকবে।
পরে নামতে গিয়ে রিংকি পড়ে যাবে। আর তখনই ওরা একে অপরকে চুম্বন করবে। তবে এটা শোনার পর আমি পরিচালকের কাছ থেকে দু দিন সময় চেয়ে নিয়েছিলাম।” তারপর? সানভিকার সংযোজন, “আদৌ চুমুর দৃশ্যে শুটের জন্য আমি প্রস্তুত কিনা, সেই চিন্তাই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। পরে ভেবে দেখলাম, ‘পঞ্চায়েত’-এর সব ধরনের দর্শক রয়েছে। বিশেষ করে এটা ফ্যামিলি শো। অনেকেই পরিবারের সঙ্গে বসে এই শোটা দেখেন। আমি চিন্তা করলাম জিতেন্দ্রর প্রতিক্রিয়াই বা কী হবে এই বিষয়ে? তাছাড়া আমিও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি না। তাই সেইসময়ে পত্রপাঠ চুম্বন দৃশ্যে অভিনয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দিই। পরে অবশ্য নির্মাতারা সেই দৃশ্য বাদ দিয়ে ট্যাঙ্কের উপরে রোম্যান্সের দৃশ্যটাকে রাখেন।”
টিকে/