‘ড্রাগন’-এর সাফল্য যেন কায়াডু লোহার জীবনটাই বদলে দিয়েছে। দক্ষিণী সিনেমায় একের পর এক প্রস্তাব, চাহিদা আর আলোচনার কেন্দ্রে এখন তিনি। কিন্তু এই উত্থান সঙ্গে এনেছে ব্যস্ততার ভার—যার প্রভাব পড়ল সম্প্রতি ধনুশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ছবিতে। পরিচালক উইগনেশ রাজার এই নতুন ছবিতে মূল নারী চরিত্রের জন্য প্রথমে ভাবা হয়েছিল কায়াডুকেই। তবে শেষপর্যন্ত সৌজন্যমূলকভাবে ‘না’ বলতে হয়েছে তাঁকে।
একেবারে নতুন পরিচালক নন উইগনেশ রাজা। তাঁর পরিচালনায়, Vels Film International-এর ব্যানারে, এই নতুন ছবিটি শুরু হওয়ার কথা ছিল এই মাসেই। ‘কুবেরা’, ‘ইডলি কডাই’ ও ‘তেরে ইশক মেং’-এর কাজ সেরে এরপরই ক্যামেরা চালু করার পরিকল্পনা ছিল প্রযোজকদের। আর ঠিক তখনই সামনে আসে কায়াডুর শিডিউল সমস্যা।
তামিল, তেলুগু ও মালায়ালম মিলিয়ে ছয়টিরও বেশি সিনেমায় ব্যস্ত কায়াডু এই মুহূর্তে। ফলে ধনুশের ছবির জন্য নির্ধারিত সময়ে তিনি নিজেকে ফাঁকা রাখতে পারেননি। একে বলা যায় তাঁর প্রথম উল্লেখযোগ্য ‘না’, কিন্তু সেই ‘না’, তেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে তাঁর পেশাদারিত্ব ও অবস্থান।
কায়াডুর পরিবর্তে শেষ পর্যন্ত নির্মাতারা বেছে নিয়েছেন পূজা হেগড়েকে। ধনুশ ও পূজার নতুন এই জুটি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা। পরিচালক ও প্রযোজক দুই পক্ষই এখন নতুন উদ্যমে শুটিংয়ে নামতে প্রস্তুত।
তবে কায়াডু যে কেবল এক ছবি ছেড়ে দিয়ে থেমে যাচ্ছেন না, তা স্পষ্ট তাঁর হাতে থাকা প্রজেক্টগুলোর নাম শুনলেই। একের পর এক বড় বাজেটের সিনেমা, দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির ব্যস্ততম নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ, আর দর্শকমনে ইতোমধ্যেই তৈরি হওয়া আলাদা পরিচিতি—সব মিলিয়ে কায়াডু এখন আর নতুন মুখ নন, বরং এক প্রতিষ্ঠিত ও প্রতিশ্রুতিশীল তারকা।
যদিও পূজা হেগড়েকে নিয়ে ছবির আকর্ষণ কমবে না, তবুও কায়াডুর অনুপস্থিতি যে এক ধরনের আলোচনার জায়গা তৈরি করবে, তা বলাই যায়। বিশেষ করে যখন সেই জায়গাটি তিনি নিজের সাফল্যের ভারে বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
এসএন