উল্টো পথে হাঁটছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। যেখানে ক্রিকেটে বিশ্বের শীর্ষ র্যাংকিংয়ে থাকা দেশগুলো ঘরোয়া কাঠামোকে আরো শক্তিশালী করতে জোর দিচ্ছে, সেখানে ঠিক বিপরীত চিত্র পিসিবিতে। সম্প্রতি বাজেট ঘোষণায়, ব্যর্থ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের পুরস্কৃত করে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের ভাগ্যে কাটছাঁট রেখেছে পিসিবি।
দুই বছর ধরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় একের পর এক ব্যর্থতা, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেই বিদায়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একই দশা।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও সাফল্যের খরা, ঘরের মাঠে বাংলাদেশর কাছে হার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ড্র, সব মিলিয়ে হতাশার পর হতাশা। তবু কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।
নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ২৫ জনের বদলে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন ৩০ জন ক্রিকেটার। তাদের বেতন বাড়ছে ৩৭ শতাংশ হারে।
এ বাবদ বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই অনুমোদন পেয়েছে।
অন্যদিকে, বাজেট কাটছাঁটের ছুরিতে ক্ষতবিক্ষত পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট। আগে যেখানে ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকত, সেখানে তা কমিয়ে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায় আনা হয়েছে।
অপরদিকে, ১২টি ঘরোয়া মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২ কোটি টাকা। লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডির তিনটি আন্তর্জাতিক ভেন্যুর জন্য আলাদা করে বাজেট রাখা হলেও, বাকিগুলোর ভাগ্যে থাকছে না পর্যাপ্ত অর্থ।
নারী ক্রিকেটেও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে পিসিবির ঢিলেঢালা ভাব। যদিও কেন্দ্রীয় চুক্তির সংখ্যা বাড়িয়ে ১৬ থেকে ২৪ জনে উন্নীত করা হয়েছে, কিন্তু বেতন বাড়ানো হয়েছে মাত্র ৪ শতাংশ। নারী দলের জন্য বরাদ্দ ১১ কোটি টাকা।
এমআর/এসএন