২০১৫ সালে ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’ মুক্তির পর ভারতীয় সিনেমায় শুরু হয়েছিল এক নতুন অধ্যায়। মহাভারতের প্রেক্ষাপটে রাজ্য ও পরিবারিক যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, ভালোবাসা ও আত্মত্যাগ, সবকিছু মিলিয়ে গঠিত এই সিনেমা শুধু ব্যবসাসফল নয়, সাংস্কৃতিক প্রভাবেও দাগ কেটেছিল। ২০২৫ সালে এই মহাকাব্যিক যাত্রার এক দশক পূর্ণ হলেও দর্শকদের মনে এখনো একটাই প্রশ্ন ‘বাহুবলী ৩’ কি আসছে?
এই প্রশ্নই আবার সামনে এসেছে প্রভাসের একটি পুরনো সাক্ষাৎকারকে ঘিরে। রাজীব মাসান্দকে দেওয়া সেই আলাপচারিতায় প্রভাস জানিয়েছিলেন, রাজামৌলি তাঁকে মোট ছয়টি স্ক্রিপ্ট দিয়েছিলেন, যেখানে পুরো পরিকল্পনায় ছিল প্রায় দশ থেকে চৌদ্দটি আলাদা গল্প। অথচ ‘বাহুবলী ১’ ও ‘বাহুবলী ২’ মিলিয়ে মাত্র ষাট শতাংশ গল্প বলা হয়েছে। বাকি গল্পগুলো এখনও অপেক্ষমাণ।
প্রভাস বলেন, “রাজামৌলি যদি আবার চান, তবে উনি করতেই পারেন। তবে আমি নিশ্চিত নই, আদৌ সেটা হবে কিনা।” অর্থাৎ, আশার আলো এখনও নিভে যায়নি।
গল্প শেষ হয়নি শুধু থেমে আছে। অনেকে মনে করেন, মহেন্দ্র বাহুবলীর শাসনকাল, ভল্লালদেবের উত্থান, কিলিকি রাজবংশ বা কাট্টাপ্পা-শিবগামীর অতীত এসব দিক নিয়েও নতুন অধ্যায় রচিত হতে পারে। রাজামৌলিও কখনো সরাসরি ‘না’ বলেননি। বরং বলেছেন, “সময় হলে দেখা যাবে।”
এই সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করে তুলেছে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ক্রাউন অব ব্লাড’ নামের বাহুবলী অ্যানিমেটেড সিরিজের সাফল্য। এটি প্রমাণ করে দিয়েছে, দর্শকের আগ্রহ এখনও অটুট। প্রভাস নিজেও বলেছেন, “আমার সিস্টেম থেকে অমরেন্দ্র ও মহেন্দ্র কোনোদিনই যাবে না।”
তবে এখন রাজামৌলি ব্যস্ত ‘SSMB29’ প্রজেক্ট নিয়ে, যেখানে অভিনয় করছেন মহেশ বাবু, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, পৃথমিরাজ সুকুমারন ও আর মাধবন। এটি হবে একটি আন্তর্জাতিক অ্যাডভেঞ্চার, ‘বাহুবলী’-এর মতোই বিশাল বাজেট ও বিস্তৃত কল্পনার রূপে।
এই সিনেমার কাজ শেষ হলে? ঠিক তখনই অনুরাগীদের আশা মহিষ্মতি আবার ডাকবে।
‘বাহুবলী ৩’ এখনও তৈরি হয়নি, তবে তা মরে যায়নি। বরং ঘুমিয়ে আছে এক শক্তিশালী ভবিষ্যতের অপেক্ষায়। রাজামৌলির হাতে এখনও বাকি থাকা ৪০ শতাংশ অজানা গল্পের জন্য শুধু দরকার একটি স্পার্ক আর একবার তা জ্বলে উঠলেই, ভারতীয় সিনেমা ফিরে পাবে আরেকটি বিপ্লব।