উইম্বলডনের গ্রাস কোর্টে যেন এক তরুণী ঝড় তুললেন। পোল্যান্ডের ইগা শিয়নতেক মাত্র ৫৭ মিনিটে আমেরিকান প্রতিদ্বন্দ্বী আমান্ডা আনিসিমোভাকে ৬-০, ৬-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে জয় করলেন নিজের প্রথম উইম্বলডন শিরোপা। এতটাই একপাক্ষিক ছিল ম্যাচটি যে ১৯১১ সালের পর এই প্রথম কোনো নারী খেলোয়াড় উইম্বলডন ফাইনালে ‘ডাবল বাগেল’ অর্থাৎ গেম না হারিয়ে জয় পেলেন।
২৪ বছর বয়সী শিয়নতেক এর আগে চারটি ফ্রেঞ্চ ওপেন ও একটি ইউএস ওপেন জিতলেও উইম্বলডনের শিরোপা ছিল অধরা। এবার সেই অপূর্ণতা পূর্ণ হলো দারুণ আত্মবিশ্বাসের প্রদর্শনীতে।
জয়ের পর আবেগাপ্লুত শিয়নতেক বলেন, ‘এটা পুরোপুরি অবিশ্বাস্য লাগছে। সত্যি বলতে, উইম্বলডনে জয়ের স্বপ্নও দেখিনি, কারণ এটা অনেক দূরের ব্যাপার ছিল। আমি জানি আমি একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, কিন্তু এটা প্রত্যাশা করিনি।’
প্রথমবার অল ইংল্যান্ড ক্লাবের ফাইনালে খেলতে নেমে শিয়নতেক শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন। প্রথম সেট জিততে সময় নিয়েছেন মাত্র ২৫ মিনিট। বিপরীতে, আনিসিমোভা পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিলেন নার্ভাস। প্রথম সেটে মাত্র ৯ পয়েন্ট জিতেছেন তিনি।
দ্বিতীয় সেটেও একই চিত্র—মোট ২৮টি আনফোর্সড এরর ও পাঁচটি ডাবল ফল্টে নিজের লড়াইটাই যেন শেষ করে ফেলেন আমেরিকান তরুণী।
১৩তম বাছাই আনিসিমোভা ম্যাচ শেষে চোখের পানি সামলে বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ আমার জন্য অসাধারণ ছিল। আমি চাইতাম আপনাদের সামনে আরও ভালো পারফরম্যান্স দিতে, কিন্তু আজ সেটা হলো না।’
তিন মাসের বয়সের ব্যবধানে শিয়নতেক ও আনিসিমোভা সমবয়সী হলেও অভিজ্ঞতার দিক থেকে দুইজনের ব্যবধান স্পষ্ট। শিয়নতেক মেজর ফাইনালে এখনও হারেননি, ৬টি ফাইনালেই জয় পেয়েছেন।
এবারের জয়ে সেই তালিকায় যুক্ত হলো সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী গ্র্যান্ড স্লাম—উইম্বলডন। এবং সেটা এমন এক জয়ের মাধ্যমে, যা ইতিহাসে লেখা থাকবে চিরকাল।
ইউটি/টিএ