চোখের নিচে কালি, মুখ ভার, কণ্ঠে স্পষ্ট ক্লান্তি—এমন অনামিকা চক্রবর্তীকে সচরাচর দেখা যায় না। তবে সম্প্রতি এক ভিডিওতে ঠিক এমন ভাবেই ধরা দিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। বহু দিন সমাজমাধ্যমে চুপচাপ ছিলেন তিনি। না নতুন ছবি, না কোনো ভ্লগ। অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো ব্যক্তিগত জীবনে এসেছে কোনো ঝড়।
অবশেষে নিজেই জানালেন, এই নীরবতার পেছনে রয়েছে তাঁর প্রিয় পোষ্যের অসুস্থতা। ভিডিও বার্তায় অনামিকা জানান, গত কিছুদিন তাঁর পোষ্য খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়া ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম কঠিন সময়।
ভিডিওতে প্রায় কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী। বলেন, “পোষ্যকে বাড়ি আনার আগে অনেক ভাবনাচিন্তা করা দরকার। এই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভয়ঙ্কর। এক চিকিৎসকের নাম নিতে চাই না এখনই। সময় হলে অবশ্যই বলব।”
অভিনেত্রী জানান, এই ভিডিও কোনো আবেগপ্রবণ প্রকাশ নয়, বরং সচেতনতা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি। তিনি চান, পোষ্য নিতে ইচ্ছুক মানুষ যেন আগে ভালোভাবে জেনে-বুঝে সিদ্ধান্ত নেন।
ভিডিওর শেষাংশে অনামিকা অনুরাগীদের আশ্বস্ত করেন, “আমি একেবারে ঠিক আছি। আমার সঙ্গে এমন কিছু হয়নি। এই ভিডিও শুধু তাদের জন্য, যারা আমার খোঁজ নিচ্ছেন।”
সাম্প্রতিক সময়ে অভিনয় থেকে কিছুটা দূরে রয়েছেন অনামিকা। দীর্ঘ ১১ বছর টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার পর এখন ভ্লগিং এবং ইউটিউবেই সক্রিয়। তবে ওজন বৃদ্ধি, ব্যক্তিগত পছন্দ, কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য অভিনয়ে ফিরতে পারছেন না বলেই ইঙ্গিত দেন তিনি।
তবে অনামিকার জোরালো বক্তব্য, “এটা নিয়ে আমি একটুও ভাবছি না। আমি যেমন আছি, তেমনটাই থাকতে চাই।”
এই ভিডিও যেন শুধুই এক পোষ্যপ্রেমী নারীর কান্না নয়, বরং তার ভেতরেও লুকিয়ে রয়েছে এক সাহসিনী অভিনেত্রীর বিবৃতি—যিনি নিজের মত করে নিজের লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এসএন