গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৯৪ ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলা চলছেই। ভূখণ্ডটির বিভিন্ন স্থানে চালানো এই হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৯৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আড়াই শতাধিক।

এতে করে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৬০০ জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ হাজার ৫৭৩ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন করে আরও ৯৪ জনের মরদেহ আনা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ২৫২ জন।

এই নিয়ে গত বছরের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৭ জনে। বিবৃতিতে বলা হয়, “অনেক মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে আছে, যাদের কাছে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারছেন না।”

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। গত ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৮৫১ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫ হাজার ৬৩৪ জন।

এর আগে গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল আবারও গাজায় পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী ৭ হাজার ৭৫০ জনকে হত্যা করেছে এবং আহত করেছে আরও ২৭ হাজার ৫৬৬ জনকে। অথচ এর আগে জানুয়ারিতে দুই পক্ষ একটি অস্ত্রবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তিতে পৌঁছেছিল।

গত নভেম্বরেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এছাড়া গাজায় চালানো অভিযানের কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) একটি মামলা চলমান রয়েছে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চূড়ান্ত বাণিজ্য চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প Jul 17, 2025
img
বাংলাদেশে মুজিববাদীদের কোনো ঠাঁই হবে না: নাসীরুদ্দীন Jul 17, 2025
img
কাচ ভেঙে শাহরুখের চেহারা বানিয়ে চমকে দিলেন তার ভক্ত! Jul 17, 2025
img
হামলাকারী কেউ যেন ছাড় না পায় : নাহিদ Jul 17, 2025
img
পঞ্চগড়ের দুই সীমান্তে নারী-শিশুসহ ২৪ জন পুশইন Jul 17, 2025
img
এই সিরিজ জয় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ : নাফিস Jul 17, 2025
img
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আর রাজনৈতিক ভাষায় কথা হবে না : শিশির Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জ এখন শান্ত রয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 17, 2025
img
ভোটার তালিকা সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন Jul 17, 2025
img
দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার ইস্তাম্বুলের মেয়র, তুরস্কে বিক্ষোভ Jul 17, 2025
img
কোনো চাপে নয়, বিভ্রান্তি এড়াতেই ওয়েবসাইট থেকে নৌকা প্রতীক সরানো হয়েছে : ইসি Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনার আগাম তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে ছিল না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 17, 2025
img
১২ দিন প্রচণ্ড শীতে, পানিতে ভিজে রাতভর শুটিং করেছি : অপরাজিতা Jul 17, 2025
img
নির্বাচন পেছানো হলে দেশ অবনতির দিকে যাবে: আমীর খসরু Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিলেন সোহেল তাজ Jul 17, 2025
img
সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন থাকলে শাকিবকে করুন: মিষ্টি জান্নাত Jul 17, 2025
img
মায়ামির অধিনায়কের দায়িত্বে সাকিব Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার Jul 17, 2025
img
‘চাঁদাবাজদের সামলান, নাহলে জনগণ ফ্যাসিস্টদের মতো বিতাড়িত করবে’ Jul 17, 2025
img
জুলাই স্মরণে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হবে অনুষ্ঠান Jul 17, 2025