গোপালগঞ্জের ঘটনা গোয়েন্দা ব্যর্থতা : জাহেদ উর রহমান

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বনির্ধারিত পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাকে সরকার ও গোয়েন্দা ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান। তিনি বলেন, এটা বোঝার জন্য খুব বেশি বুদ্ধিশুদ্ধিও লাগে না যে এখানে (গোপালগঞ্জে) একটা কেওস (বিশৃঙ্খলা) হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শো অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

জাহেদ উর রহমান বলেন, এনসিপিতে যারা মূল নেতা, যারা জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে ছিলেন, তাদের প্রতি শেখ হাসিনার তীব্র বিদ্বেষ আছে। শেখ হাসিনা যতবার বক্তৃতা দিয়েছে, আমি খেয়াল করেছি— সমন্বয়কদের খুঁজতে হবে, এমনকি এক সমন্বয়ক বিয়ে করেছেন, তার শ্বশুরবাড়িও খুঁজতে হবে এমন কথাও বলেছেন। সুতরাং এদের ওপর ক্ষোভ আছে, তাই তারা ক্ষোভটা উগরে দিত। 

সারা দেশে এনসিপি ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি করেছে, কিন্তু গোপালগঞ্জে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির বিষয়ে জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘মার্চ’ যখন বলেন সেটা খানিকটা উসকানির মতো শোনায়। শুধু সেটাই না, আমি আরো কিছু জিনিস যোগ করতে চাই।

গতকাল রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলাম অনেকে বলছেন, টুঙ্গিপাড়া ভেঙে দিতে হবে। কেউ কেউ বলছেন, এটা করতে পারলে এনসিপি রাজনৈতিক দল হিসেবে অসাধারণভাবে দাঁড়িয়ে যাবে। এই উসকানিগুলো ছিল। এর ফলে সেখানে একটি উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেটি না হলেও হামলার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। এখানে সরকারের ব্যর্থতা ছিল, সঠিক। কিন্তু সেটা গোয়েন্দা ব্যর্থতা।  

তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনা জেনে-বুঝে করা হয়ে থাকতে পারে; পরিকল্পিতভাবে করা হয়ে থাকতে পারে। এটা কিন্তু এই ঘটনার একটি ভিন্ন ব্যাখ্যা হতে পারে।

তিনি বলেন, এনসিপি তো এটাও চাইতে পারে যে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে দ্বন্দ্বে গিয়েছি। জনগণ দেখল যে আওয়ামী লীগ কত খারাপ। এবার এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে হান্নান মাসউদ বললেন— এর মধ্যে নির্বাচন কিভাবে হবে? 

তিনি বলেন, আমি-আপনি অনুমান করতে পারি গোপালগঞ্জে এটা হবে, সরকারের কত গোয়েন্দা সংস্থা আছে তারা কি অনুমান করতে পারেনি? তারা পেরেছে; যদি অনুমান করতে পেরে তারা এটা হতে দেয়, কেন হতে দিয়েছে? আমি বলছি না এটাই হয়েছে, তবে ঘটনাটাকে এভাবেও আমরা দেখতে পারি।

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশে মুজিববাদীদের কোনো ঠাঁই হবে না: নাসীরুদ্দীন Jul 17, 2025
img
কাচ ভেঙে শাহরুখের চেহারা বানিয়ে চমকে দিলেন তার ভক্ত! Jul 17, 2025
img
হামলাকারী কেউ যেন ছাড় না পায় : নাহিদ Jul 17, 2025
img
পঞ্চগড়ের দুই সীমান্তে নারী-শিশুসহ ২৪ জন পুশইন Jul 17, 2025
img
এই সিরিজ জয় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ : নাফিস Jul 17, 2025
img
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আর রাজনৈতিক ভাষায় কথা হবে না : শিশির Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জ এখন শান্ত রয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 17, 2025
img
ভোটার তালিকা সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন Jul 17, 2025
img
দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার ইস্তাম্বুলের মেয়র, তুরস্কে বিক্ষোভ Jul 17, 2025
img
কোনো চাপে নয়, বিভ্রান্তি এড়াতেই ওয়েবসাইট থেকে নৌকা প্রতীক সরানো হয়েছে : ইসি Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনার আগাম তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে ছিল না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 17, 2025
img
১২ দিন প্রচণ্ড শীতে, পানিতে ভিজে রাতভর শুটিং করেছি : অপরাজিতা Jul 17, 2025
img
নির্বাচন পেছানো হলে দেশ অবনতির দিকে যাবে: আমীর খসরু Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিলেন সোহেল তাজ Jul 17, 2025
img
সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন থাকলে শাকিবকে করুন: মিষ্টি জান্নাত Jul 17, 2025
img
মায়ামির অধিনায়কের দায়িত্বে সাকিব Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার Jul 17, 2025
img
‘চাঁদাবাজদের সামলান, নাহলে জনগণ ফ্যাসিস্টদের মতো বিতাড়িত করবে’ Jul 17, 2025
img
জুলাই স্মরণে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হবে অনুষ্ঠান Jul 17, 2025
img
বেকারত্ব দূর করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ : আসিফ মাহমুদ Jul 17, 2025