যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কোমলপানীয় কোম্পানি কোকা-কোলাকে কোকে ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপের পরিবর্তে আখের চিনি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কোকা-কোলা এবার যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি কোমলপানীয়তে আখের চিনি ব্যবহার করবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ জুলাই) নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি কোকা-কোলার সঙ্গে কথা বলেছি যাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি কোকে আসল আখের চিনি ব্যবহার করে। তারা এতে রাজি হয়েছে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি কোকা-কোলার দায়িত্বে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’ ট্রাম্প এই পরিবর্তনকে ‘খুব ভালো পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেখবেন, এটা আসলেই ভালো!’
তবে কোকা-কোলা ট্রাম্পের ঘোষণার সত্যতা স্বীকার বা অস্বীকার করেনি। প্রতিষ্ঠানটি শুধু জানিয়েছে, তারা প্রেসিডেন্টের কোকা-কোলা ব্র্যান্ড নিয়ে আগ্রহকে সম্মান জানায়। জর্জিয়ার আটলান্টাভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের কোকা-কোলা পণ্যের পরিসরে নতুন ও উদ্ভাবনী কিছু নিয়ে শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে।’
ডায়েট কোক ট্রাম্পের ব্যাপক পছন্দ হলেও, তিনি কেন মূল পানীয়টির উপাদান পরিবর্তনের ওপর জোর দিচ্ছেন তা স্পষ্ট করেননি। তবে তার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ব্যবস্থায় উচ্চ ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপের আধিপত্যের কঠোর সমালোচক।
কেনেডি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, রান্নাঘরে সচরাচর দেখা না যাওয়া উপাদান দিয়ে তৈরি আল্ট্রাপ্রসেসড বা অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাবেন। তিনি এই সিরাপকে ‘মুটিয়ে যাওয়ার আর ডায়াবেটিসের এক সহজ সূত্র’ বলে অভিহিত করেছেন।
উচ্চ ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপ সাধারণত ভুট্টার স্টার্চ থেকে তৈরি করা হয়। অনেক মার্কিন কোম্পানি এটি ব্যবহার করে থাকে, কারণ এটি আখের চিনির তুলনায় সস্তা। এর একটি কারণ হলো সরকারিভাবে ভুট্টার ওপর ভর্তুকি এবং চিনি আমদানিতে শুল্ক।
১৯৮০ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত কোকা-কোলায় উচ্চ ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপ ব্যবহার শুরু হয়। তবে বিদেশে তৈরি অনেক কোকা-কোলাতেই এখনো আখের চিনি ব্যবহৃত হয়। যেমন মেক্সিকোর কোকা-কোলা। স্বাদের কারণে মেক্সিকান সংস্করণটির প্রতি ভক্তদের আগ্রহ অনেক বেশি।
এসএন