দক্ষিণী সিনেমায় যেখানে অধিকাংশ সম্পর্কই তৈরি হয় পিআর স্ট্র্যাটেজি আর সাজানো হাসির পেছনে, সেখানে নয়নতারা ও তৃষা যেন এক অন্য ধারার প্রতিচ্ছবি। দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে তাঁদের মাঝে নেই কোনো প্রকাশ্য ঝামেলা, নেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছুঁচো কথা—আছে শুধু নিঃশব্দে একে অন্যকে এড়িয়ে চলা। আর তাতেই জমে উঠেছে দক্ষিণের সবচেয়ে ‘অথেন্টিক’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
শুরুটা নাকি হয়েছিল 'কুরুভি' ছবির কাস্টিং বিতর্ক থেকে। তারপর একের পর এক ঘটনা যেন এই সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে। তৃষা ‘মুকুতি অম্মান’ ফিরিয়ে দিলেন, আর সেই ছবিতে চমক দেখালেন নয়নতারা। আবার নয়নতারা পিছিয়ে গেলেন 'ঠগ লাইফ' থেকে, আর সেই জায়গায় এলেন তৃষা—যার পর ছবিটি মুখ থুবড়ে পড়ে।
পর্দার বাইরের এই নীরব লড়াইয়ে এবার নয়া অধ্যায়—‘অদিভেল্লি’ রিমেকের জন্য নয়নতারা দাবি করলেন ১৫ কোটি টাকা। বাজেট চাপ বুঝে প্রযোজকরা নাকি ভাবছেন, তৃষাকে নিলে ব্যয় কমবে। দুই অভিনেত্রীর বয়স এখন চল্লিশের ঘরে, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা দক্ষিণী সিনেমার মূল নায়িকা হিসেবে এখনও স্বমহিমায় বিরাজ করছেন। ফলে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধুই ‘ইগো’র নয়, বরং সম্মান, বাজারমূল্য ও উত্তরাধিকারের।
এই দ্বৈরথে নেই কাদা ছোড়াছুড়ি, নেই ফটো-অপ বন্ধুত্ব—আছে কেবল চুপচাপ একে অন্যকে টপকে যাওয়ার চেষ্টা।
এই ইন্ডাস্ট্রিতে যেখানে সবাই বন্ধুত্বের মুখোশ পরে থাকে, সেখানে নয়নতারা ও তৃষার এই নীরব প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন অনেক বেশি সত্যি। শেষ হাসি কে হাসবেন? এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
এসএন