ইরানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিস্তান-বালুচিস্তানে গ্রেনেড হামলায় কমপক্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে রাজ্যের রাজধানী জাহেদানে ইরানের বিচারবিভাগের একটি ভবনে এই হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিচারবিভাগ সংক্রান্ত সংবাদমাধ্যম মিজান অনলাইন।
মিজান অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “জাহেদানে বিচারবিভাগের একটি ভবনে হামলা হয়েছে। তাদের ৫ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন।
নিহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে, কারণ আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
ইরানের সামরিক বাহিনীর অভিজাত শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর বরাত দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব সংবাদমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, হামলার পর পরই তৎপর হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এবং তাদের গুলিতে ৩ জন হামলাকারী নিহত হয়েছে।
সিস্তান-বালুচিস্তান পুলিশের উপ কমান্ডার আলিরেজা দালিরি ইরনাকে বলেছেন, হামলাকারীরা দর্শনার্থীর ছদ্মবেশে ভবনটিতে প্রবেশ করেছিল। ভবনে ঢোকার পর তারা নিজেদের সঙ্গে থাকা গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। নিহতদের মধ্যে একটি এক বছরের শিশু এবং তার মা আছেন।
জইশ আল আদি নামের একটি গোষ্ঠী এ হামলার জন্য দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। আরবি জইশ আল আদির বাংলা অর্থ ‘ন্যায়বিচারের সেনাবাহিনী’। এই গোষ্ঠীটি পাকিস্তানভিত্তিক, তবে ইরানেও এদের সাংগঠনিক তৎপরতা আছে।
রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশ ইরানের দরিদ্রতম এলাকাগুলোর মধ্যে একটি। একসময় পাকিস্তানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তান এই সিস্তান-বালুচিস্তানের অংশ ছিল।
সিস্তান-বালুচিস্তানের সঙ্গে ইরানের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে গত ৭ দশক ধরে স্বাধীনতা সংগ্রাম চলছে। মাঝে মাঝে তার ধাক্কা এসে লাগে ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তানেও। এর আগেও পাকিস্তানভিত্তিক একাধিক গোষ্ঠীর হামলার শিকার হয়েছে সিস্তান-বালুচিস্তান।
সূত্র : এএফপি
পিএ/টিকে