গ্লোবাল সুপার লিগের (জিএসএল) প্রথম আসরে চমক দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া রংপুর রাইডার্সকে ঘিরে দ্বিতীয় আসরে ছিল বাড়তি প্রত্যাশা। সেই চাপ সামলে টানা তিন ম্যাচ জিতে এবারও ফাইনালে জায়গা করে নেয় নুরুল হাসান সোহানের দল। তবে এবার শিরোপা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি তাদের। গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে হেরে শেষ হয় রংপুরের শিরোপা স্বপ্ন।
তবে ব্যর্থতা নয়, দলগত সাফল্যকে গুরুত্ব দিচ্ছেন রংপুর অধিনায়ক। দেশে ফিরে শনিবার বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দেখেন, এখানে অনেক ভালো ভালো দল ছিল। গতবার কিন্তু আমাদের কেউই সেভাবে গোনায় ধরেনি, পরে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাই। এবার শুরু থেকেই বেশ চ্যালেঞ্জ ছিল। সত্যি বলতে, এবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমাদের মধ্যে শিরোপা ধরে রাখার সেই চ্যালেঞ্জটা ছিল। ফাইনালটা যদি জিততে পারতাম, তাহলে খুব ভালো হতো। তবু পরপর দুই বছর আমরা ফাইনাল খেলেছি, এটা বাংলাদেশের জন্যও গর্বের ব্যাপার।’
গতবারের চেয়ে এবার রংপুরের শুরুটা ছিল অনেক বেশি দৃঢ়। গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স, দুবাই ক্যাপিটলস এবং হোবার্ট হারিকেন্সের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় তারা। মূল পর্বে ধারাবাহিকভাবে দাপট দেখালেও ফাইনালে গায়ানার বিপক্ষে তা ধরে রাখতে পারেনি একবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা।
রংপুরের সাফল্যের পেছনে বল হাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন পেসার খালেদ আহমেদ। পাঁচ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে ডেথ ওভারে দলের নির্ভরতা হয়ে উঠেন তিনি। ব্যাটে-বলে সমানভাবে অবদান রেখেছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্স। প্রয়োজনের সময় পারফর্ম করেছেন সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান ও অধিনায়ক সোহান নিজেও।
সোহান মনে করেন, ব্যক্তিগত নয়, দলগত পারফরম্যান্সই তাদের মূল শক্তি ছিল। ‘এখানে বিশ্বের সেরা সেরা দলগুলো খেলেছে, তাই অবশ্যই এখানে ভালো করতে হলে দল হিসেবে ভালো করতেই হতো। আমার কাছে মনে হয় প্রতিটা খেলোয়াড়, টিম ম্যানেজম্যান্ট, কোচ থেকে শুরু করে সবার মাঝে এই বিশ্বাসটা ছিল যে, আমরা এবারও পারব। সবাই খুব বেশি উদগ্রীব ছিল। আমরা দল হিসেবেই খেলেছি এবং দল হিসেবে খেলেই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছি।’
ইউটি/টিএ