জুলাই ঘোষণাপত্রে ঐকমত্যের চেষ্টা চলছে: মাহফুজ আলম

জুলাই ঘোষণাপত্র গত ৩১ ডিসেম্বরই ঘোষিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের অভাবে সে প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়।এরপর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বিভিন্ন দলের খসড়া প্রস্তুত হলেও ঘোষণাপত্রের প্রস্তাবনা নিয়ে সংলাপে অগ্রগতি হয়নি। আদর্শিক অবস্থান ও বিভিন্ন ধারাবিষয়ক বিরোধে দুই মাস ধরে আলোচনা কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে মাহফুজ আলম বলেন। 

মাহফুজ আলম পোস্টে জানান, ‘মে মাসে আমি জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়টি আবার মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করি। কিন্তু তখন রাজনৈতিক দলগুলো তেমন আগ্রহ দেখায়নি। জুনে বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে এবং সিদ্ধান্ত হয়, সরকারের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সর্বসম্মত ঘোষণাপত্র তৈরি করবেন।’

মাহফুজ আলম লিখেছেন, জুলাইয়ের শুরু থেকে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে।

কিছু ঐতিহাসিক ও আদর্শিক বক্তব্য নিয়ে এখনো দ্বিমত রয়ে গেছে। তবে আমরা আশা করি, ছাত্রদের বহু দাবি ইতোমধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমন্বয় করা হয়েছে—এটা দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে। সবার সম্মিলিত ছাড়ের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানকে যথাযথ রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তব হবেই।

আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ।’

ফেসবুক পোস্টের এক পর্যায়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দল-মতাদর্শ নির্বিশেষে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে আমরা বরাবরই উদার থেকেছি। তবু কেউ কেউ জুলাই ছাত্র-জনতার ন্যায্য স্বীকৃতি বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে জুলাই ঘোষণাপত্রে সেই স্বীকৃতি যথাযথভাবেই নিশ্চিত করা হবে।

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জাপানে ভয়াবহ সুনামির আঘাত, এগিয়ে আসছে আরও শক্তিশালী ঢেউ Jul 30, 2025
img
জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া না পাওয়া আমার হাতে নাই : সোহান Jul 30, 2025
img
নারীকেই কামনা-বাসনার বস্তু হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে : জয়া Jul 30, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৮তম, শীর্ষে কিনশাসা Jul 30, 2025
img
রাশিয়ায় ৮.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প, ২ দেশে সতর্কতা জারি Jul 30, 2025
img
দেশের ৭ অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস Jul 30, 2025
img
না ফেরার দেশে মিষ্টি জান্নাতের বাবা Jul 30, 2025
img
৩০ জুলাই: বিশ্বব্যাপী ইতিহাসে এই দিনে কী ঘটেছিল? Jul 30, 2025
img
দুর্গাপূজার আগে পদ্মার ইলিশের অপেক্ষায় কলকাতার ব্যবসায়ীরা Jul 30, 2025
img
তারুণ্যের নেতৃত্ব জাতিসংঘের যুববিষয়ক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 30, 2025
img
ফিলিস্তিনকে সেপ্টেম্বরে স্বীকৃতি দেবে ইউরোপের আরও একটি দেশ Jul 30, 2025
img
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জরুরি সংস্কার চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল Jul 30, 2025
img
৩৭ বছর পর বাংলাদেশের দুই সাঁতারুর ইংলিশ চ্যানেল জয় Jul 30, 2025
img
চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে গণমাধ্যম সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চুক্তি স্বাক্ষর Jul 30, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপ Jul 30, 2025
img
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল একজনের, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৩ Jul 30, 2025
img
আবারও মিরপুরেই থাকছেন গামিনী Jul 30, 2025
img
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় বরখাস্ত Jul 30, 2025
img
নারায়ণগঞ্জের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে Jul 30, 2025
img
চাঁদপুরে বিএনপিসহ যুবদলের ৪ নেতা বহিষ্কার Jul 30, 2025