ঘরের ভেতর থেকেই চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু: নাহিদ

চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম শুরু করেছে, সেই সংগ্রাম ঘরের ভেতর থেকে শুরু করবে বলে জানিয়ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

সোমবার(২৮ জুলাই) বেলা পাঁচটার দিকে শহীদ সাগর চত্বর থেকে পদযাত্রা করে নগরীর টাউন হল মাঠে সমাবেশে এই কথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ময়মনসিংহে ৪১ জন শহীদ হয়েছে। তাদের কেউ গার্মেন্টস শ্রমিক, কেউ দিনমুজুর। যাদের জীবনের বিনিময়ে নতুন দেশ পেয়েছি। অবকাঠামো গত উন্নয়ন নেই, ব্রহ্মপুত্র নদকে মেরা ফেলা হয়েছে, বিগত সরকার শুধু মানুষের ক্ষতি করেনি নদকেও ধ্বংস করেছে।

আমরা আকাঙ্খিত বাংলাদেশ পায়নি ময়মনসিংহ বাসীকে সাতে নিয়ে সেই বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করব। ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও ঘোষণা পত্র আদায় করবো। এনিয়ে কোন টালবাহানা চলবে না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে তাদের রুখে দাঁড়ান। চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম আমরা শুরু করেছি, সেই সংগ্রাম আমরা ঘরের ভেতর থেকে শুরু করবো।

দলটির মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ময়মনসিংহে অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছে। প্রশাসনের লোকজন আহত এবং শহীদ পরিবারের কোন কথা শুনছেন না। তারা চাঁদাবাজ এবং তেলবাজদের নিয়ে ব্যস্ত। কোন আহত ভাই যদি আপনার চেয়ারের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাহলে আপনার চেয়ার থাকবেন না। মনে রাখবেন আপনারা শহীদের রক্তের ওপরে বসে আছেন। আমি শিক্ষার্থীদের বলবো যারা শহীদ এবং আহত পরিবারের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণ করবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন, যুগ্ম আহবায়ক জাবেদ রাসিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম রবিন প্রমূখ।

এছাড়া জুলাই পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটি ময়মনসিংহের প্রধান বাস্তবায়নকারী মো. ইকরাম এলাহী খান, যুগ্ম বাস্তবায়নকারী অ্যাডভোকেট এটিএম মাহবুব আলম, মাহমুদুল হাসান সোহেল মোজাম্মেল, জুলাই পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটি সদস্য ফুয়াদ খানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে এনসিপির কর্মসূচি উপলক্ষে নগরজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়সহ বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নিতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরাতে চেয়েছিলেন কারস্টেন, দাবি মঈন আলীর Jul 30, 2025
img
শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য রাশিয়ার হাতে ১০ দিন সময় আছে: ট্রাম্প Jul 30, 2025
img
চাঁদপুরে বিএনপির ৩ নেতা বহিষ্কার Jul 30, 2025
img
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান Jul 30, 2025
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কমাতে তৃতীয় দফায় আলোচনা শুরু Jul 30, 2025
img
ব্যারিস্টার আরমানকে বন্দি রাখার বিষয়টি জানতাম : সাবেক আইজিপির জবানবন্দি Jul 30, 2025
img
আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামিপক্ষের অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ Jul 30, 2025
img
কমছে তিস্তার পানি, নদীপাড়ে ফিরছে স্বস্তি Jul 30, 2025
img
ফখরুলের ভাইয়ের গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিএনপির ২ নেতা বহিষ্কার Jul 30, 2025
img
তামিমের বিপিএলে ফেরা নিয়ে ট্রেইনারের মন্তব্য Jul 30, 2025
img
সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী Jul 30, 2025
img
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি সবচেয়ে বেশি দায়ী : জাহেদ উর রহমান Jul 30, 2025
img
৩০ জুলাই লাল রঙে রাঙা প্রতিবাদে কাঁপে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Jul 30, 2025
img
উরুগুয়েকে উড়িয়ে কোপা ফাইনাল-অলিম্পিকে ব্রাজিল Jul 30, 2025
img
শুল্কবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্যাকেজ প্রস্তাব দিল বাংলাদেশ Jul 30, 2025
হযরত আবু হুরায়রা রা এর কাহিনী | প্রতিদিনের ইসলামিক কার্টুন Jul 30, 2025
img
নিজের প্রশংসা শুনে যেমন ছিলো কঙ্গনার অনুভূতি Jul 30, 2025
img
জাপানে যুদ্ধের প্রস্তুতি? কুমামোতোয় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্ত Jul 30, 2025
img
আজ শুরু উচ্চমাধ্যমিক ভর্তির আবেদন, ৪৫ দিনে সম্পন্ন হবে প্রক্রিয়া Jul 30, 2025
img
একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ২০ হাজার ছাড়িয়েছে Jul 30, 2025