আবু সাঈদ হত্যা : অব্যাহতি চাইলেন তিন আসামি, বুধবার ফের শুনানি

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে, তা থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন গ্রেপ্তার তিন আসামি।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ তাদের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। পরে এ বিষয়ে শুনানি হয়। বুধবার ফের শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।

সোমবার এ মামলার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মাহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানিতে তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আরজি জানান ট্রাইব্যুনালের কাছে।

মঙ্গলবার আসামিপক্ষের শুনানির দিন ধার্য ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার ছয় আসামির মধ্যে তিনজনের আইনজীবী শুনানি করেন।

আসামি সুজন চন্দ্র রায়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, বোরোবির সাবেক সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল গনী টিটো এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান। তার আগে গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তার অন্য তিন আসামি হলেন পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, রাফিউল হাসান রাসেল ও মো. আনোয়ার পারভেজ। বাকি ২৪ আসামি পলাতক।

তাদের পক্ষে রয়েছেন রাষ্ট্রনিয়োজিত চারজন আইনজীবী।

গত ২৪ জুন চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেখানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ ৩০ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়। পরে ৩০ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন পার্ক মোড় এলাকায় গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
না ফেরার দেশে মিষ্টি জান্নাতের বাবা Jul 30, 2025
img
৩০ জুলাই: বিশ্বব্যাপী ইতিহাসে এই দিনে কী ঘটেছিল? Jul 30, 2025
img
দুর্গাপূজার আগে পদ্মার ইলিশের অপেক্ষায় কলকাতার ব্যবসায়ীরা Jul 30, 2025
img
তারুণ্যের নেতৃত্ব জাতিসংঘের যুববিষয়ক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 30, 2025
img
ফিলিস্তিনকে সেপ্টেম্বরে স্বীকৃতি দেবে ইউরোপের আরও একটি দেশ Jul 30, 2025
img
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জরুরি সংস্কার চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল Jul 30, 2025
img
৩৭ বছর পর বাংলাদেশের দুই সাঁতারুর ইংলিশ চ্যানেল জয় Jul 30, 2025
img
চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে গণমাধ্যম সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চুক্তি স্বাক্ষর Jul 30, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপ Jul 30, 2025
img
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল একজনের, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৩ Jul 30, 2025
img
আবারও মিরপুরেই থাকছেন গামিনী Jul 30, 2025
img
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় বরখাস্ত Jul 30, 2025
img
নারায়ণগঞ্জের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে Jul 30, 2025
img
চাঁদপুরে বিএনপিসহ যুবদলের ৪ নেতা বহিষ্কার Jul 30, 2025
img
জানা গেল রোনালদো-বেকহ্যামদের জার্সি নিষেধাজ্ঞার পেছনের কারণ Jul 30, 2025
img
চারটে পুরুষের সঙ্গে দাঁড়িয়ে অন্তর্বাসের বিজ্ঞাপন করতে পারব না : স্মৃতি Jul 30, 2025
img
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির কাউন্সিলে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই নেতা বহিষ্কার Jul 30, 2025
img
কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে ‘মাঠ ও পার্কের’ ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি Jul 30, 2025
ড. ইউনূসের প্রতি প্রশ্নবাণ ছুঁড়লেন জুলাই শহীদ সৈকতের বোন সেবন্তী Jul 30, 2025
জুলাই স্মরণ অনুষ্ঠানে ছেলের স্মৃতি নিয়ে শহীদ নাফিজের বাবা Jul 30, 2025