‘বাংলাদেশ সিরিজের মতো খেললে এশিয়া কাপেও খারাপ করবে পাকিস্তান’

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছে পাকিস্তান। ২-১ ব্যবধানে হারা এই সিরিজে দৃষ্টিকটু ছিল পাকিস্তানের ব্যাটিং। কঠিন উইকেটে এমন ব্যাটিং অব্যাহত থাকলে এশিয়া কাপেও খারাপ করবে পাকিস্তান, এমনটা মনে করেন রমিজ রাজা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১১০ রানে অল আউট হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে ওপেনার ফখর জামানের ব্যাটে। এ ছাড়া খুশদিল শাহ ১৭ ও আব্বাস আফ্রিদি ২২ রান করেন।

দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ করে ২০ ওভারে ১৩৩ রান। জবাবে ১২৫ রানে থামে পাকিস্তান। ৩২ বলে ৫১ রান করেন ফাহিম আশরাফ। দলটির প্রথম ছয় ব্যাটার আউট হন এক অঙ্কের ঘরে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য ভালো ব্যাটিংয়ে জিতে যায় পাকিস্তান।

দলটির ব্যাটিং ব্যর্থতা টেনে এনে রমিজ রাজা বলেন, 'এটা তো বাংলাদেশ ছিল, যদি আপনারা ভালো দলের সাথে খেলেন, ধরা যাক এশিয়া কাপে এই ধরনের পিচে, তাহলে আরও মুশকিল হয়ে যাবে। তখন পাকিস্তানের দলের শারীরিক ভাষাও খারাপ হয়ে যায়, তিন-চারটে উইকেট পড়লে একরকম ব্রেক লেগে যায়।'

এটাও দেখতে হবে যে কীভাবে একটা নাজুক পরিস্থিতিতে নিজেদের শারীরিক ভাষা বজায় রাখা যায় এবং বুদ্ধি দিয়ে ব্যাটিং করা যায়, বুদ্ধি দিয়ে বোলিং করা যায়। এই হার থেকে শিখতে হবে, এগিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাদের অনেক কিছু করতে হবে, নিজের টেকনিকের উপরও কাজ করতে হবে, শুধু বড় হিট মেরে কাজ হবে না। বড় হিট মারার পিছনে অনেক কাজ করতে হবে।'

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান তোলে ১৭৮ রান। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ অল আউট হয় ১০৪ রানে। ম্যাচটি ৭৪ রানে জিতে পাকিস্তান। তবুও বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের বেদনা ভুলতে পারছেন না রমিজ।

তিনি বলেন, 'পাকিস্তানকে উৎসাহিত করা খুব সহজ যে, ‘কোনো ব্যাপার না, এমনটা হতেই পারে’, ‘দুর্ভাগ্য’, ‘তোমরা তো লড়াই করেছ’। কিন্তু দিনের শেষে আসল কথা হলো, আপনারা সিরিজ হেরে গেছেন। বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হেরেছেন এবং এটা প্রথমবার ঘটল।'

এমকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নারী প্রতিনিধিত্বে ঐক্যমত, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব : আলী রীয়াজ Jul 31, 2025
img
জালালাবাদে শেষ হল বাংলাদেশ ও ইউএস আর্মির মধ্যকার যৌথ প্রশিক্ষণ Jul 31, 2025
img
সমগ্র দেশের মানুষ আজ সংস্কার ও বিচার চায় : নাহিদ ইসলাম Jul 31, 2025
img
ক্লাস ফেলে সমাবেশে শিক্ষার্থীরা, প্রতিবাদের মুখে এনসিপি নেতার দুঃখপ্রকাশ Jul 31, 2025
img
আমদানি পণ্য পাচারের সময় চট্টগ্রাম বন্দরে আটক ৩ Jul 31, 2025
img
আ.লীগ ভারতের দালাল নয়, ভারতের সরকার : চরমোনাই পীর Jul 31, 2025
img
নতুন বাংলাদেশে নতুন সংবিধান গড়তে চায় এনসিপি : নাহিদ ইসলাম Jul 31, 2025
img
গোপালগঞ্জে ডিসির বাসভবনে হামলার ঘটনায় নতুন মামলা, আসামি ১০১ Jul 31, 2025
img
১০ আগস্ট বাংলাদেশে আসছেন পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড Jul 31, 2025
img
দুই অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি দিল সরকার Jul 31, 2025
img
আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন কামনা করলেন নৌপরিবহণ উপদেষ্টা Jul 31, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেলে ভোটের ঘোষণা দিলেন উমামা ফাতেমা Jul 31, 2025
img
মন্ত্রণালয়ের প্রচার কার্যক্রম বাড়াতে প্রধান তথ্য কর্মকর্তার আহ্বান Jul 30, 2025
img
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নূরুল বাসিরকে ওএসডি, Jul 30, 2025
img
আ.লীগ নেতাদের উদ্দেশে ডিম নিক্ষেপ করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা আটক Jul 30, 2025
img
আগামী সংসদে এনসিপির জয়জয়কার হবে: নাহিদ ইসলাম Jul 30, 2025
বিএনপির স্মরণসভায় গিয়ে যা বললেন খন্দকার আবু আশফাক Jul 30, 2025
img
সংস্কারের দাবি উপেক্ষা করা পরবর্তী সরকারের জন্য সহজ হবে না : আসিফ নজরুল Jul 30, 2025
img
সুইডেন প্রবাসী ফুটবলারকে ট্রায়ালের জন্য ডাকবে বাফুফে Jul 30, 2025
img
‘মান্ডালা মার্ডার্স’-এর সমাপ্তি কিন্তু রয়ে গেল অজস্র প্রশ্ন Jul 30, 2025