জুলাই আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর সূত্রাপুর থানার মামলায় শিক্ষার্থী নাদিমুল হাসান এলেম ওরফে এলেম আল ফায়দি (২২) হত্যা মামলায় সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিমের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন সকালে সোলায়মান সেলিমকে আদালতে হাজির করে। এরপর বেলা ১১টার দিকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, হাতকড়া ও হেলমেট পরিয়ে আদালতে তোলা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন আহমেদ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে। সেখানে তাকে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। মামলাগুলোতে তার ঠিকানা ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই-বাছাই হয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য যাচাইয়ের জন্য রিমান্ডের কোন প্রয়োজন নেই। আর রিমান্ড চায় থানা পুলিশ, কিন্তু আসামি নিয়ে যায় ডিবি। এটা কেমন! মাননীয় আদালত আপনি একটু দেখবেন।
পরে আদালতে ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের আসাদ বলেন, ওনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটা একটা হত্যা মামলা। এ মামলা হত্যার আলামত উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় আর কে কে জড়িত সেটা জানা যায়নি। সেজন্য ৭ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি, জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি, নিয়ে যাবে সিআইডি। পরে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই আন্দোলনকারীরা সূত্রাপুর থানার শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের সামনে আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করছিল। এ সময় মিছিলরত ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় আন্দোলনকারীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। পরে বেলা পৌনে তিনটায় শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের শিক্ষার্থী নাদিমুল হাসান এলেম ওরফে এলেম আল ফায়দি বাম চোখে গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত নাদিমুল হাসান এলেমকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। এ মামলায় সোলায়মান সেলিম ১০ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
কেএন/এসএন