সময়টা দুর্দান্ত যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েদের। সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল মঞ্চে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেই সঙ্গে ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিতেছেন মেয়েরা। এবার তাদের লক্ষ্য এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ বাছাই পর্বে নিজেদের সেরাটা দিয়ে মূলপর্বে জায়গা করে নেওয়া। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল লাওসে যাচ্ছেন আফঈদা-সাগরিকারা।
দেশ ছাড়ার আগে গতকাল বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন অধিনায়ক আফঈদা, কোচ পিটার বাটলার ও বাফুফের নারী উইং চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। সেখানে অধিনায়ক আফঈদা খাতুন জানান, ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ভালো কিছু করতে চান তারা। আফঈদা বলেন, 'আমরা সেখানে ভালো খেলে কোয়ালিফাই করতে যাচ্ছি। আমরা টানা খেলার মধ্যে আছি।
সাফে সবাই গেম টাইম পেয়েছি। আমরা এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে যারা খেলেছি, তারা কিছুটা বিশ্রাম নিয়েই খেলেছি, ফলে তেমন ক্লান্তি নেই।'
তবে ৩২ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই বাছাইপর্ব টুর্নামেন্টে 'এইচ' গ্রুপে লড়বে বাংলাদেশ। যেখানে আফঈদাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া। বাকি দুই প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান ও স্বাগতিক লাওস। প্রথম ম্যাচে ৬ আগস্ট স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের সব ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে লাও জাতীয় স্টেডিয়ামে।
বাছাইপর্বের আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল এবং সেরা তিন রানার্স আপ দল আগামী বছর থাইল্যান্ডে মূল পর্বে খেলবে। বাংলাদেশের গ্রুপ তো বটেই, এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল দক্ষিণ কোরিয়া। যার ফলে বাংলাদেশের চোখ গ্রুপ রানার্স আপ হওয়ার দিকে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচকেই ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চান কোচ পিটার বাটলার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'দক্ষিণ কোরিয়া মহাদেশের সেরা দল। নিঃসন্দেহে তারা অনেক এগিয়ে ও অনেক শক্তিশালী দল। আমাদের প্রথম ম্যাচ লাওসের সঙ্গে। সেই ম্যাচটি আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ঐ ম্যাচ জিতে আমরা এগিয়ে থাকতে চাই।'
আগামী ৬ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে বাছাই পর্বের ম্যাচ। আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে সিনিয়র নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্ব। সেই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ লড়বে উত্তর কোরিয়া-চীনের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। অনূর্ধ্ব-২০ দলের স্কোয়াডে রয়েছে সিনিয়র নয়জন খেলোয়াড়। এখানে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের অভিজ্ঞতা অস্ট্রেলিয়ায় কাজে লাগবে বলে মনে করছেন অধিনায়ক আফঈদা।
এমকে/এসএন