পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যুক্ত হলো আক্রমণাত্মক জেড-১০এমই হেলিকপ্টার। ‘সমন্বিত যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিক্রিয়া’ জোরদার করার জন্য এই হেলিকপ্টারগুলো সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
শনিবার (২ আগস্ট) প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন।
আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সেনাপ্রধান (সিওএএস) ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির অভিষেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং পরে মুজাফফরগড় ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে নতুন অন্তর্ভুক্ত জেড-১০এমই হেলিকপ্টার এর অগ্নিশক্তি প্রদর্শন প্রত্যক্ষ করেন।
সেনাবাহিনীর মিডিয়া অ্যাফেয়ার্স উইং উল্লেখ করেছে, ‘এই শক্তিশালী যুদ্ধবিমানগুলোর অন্তর্ভুক্তি আর্মি এভিয়েশনের আধুনিকীকরণে একটি বড় অগ্রগতির চিহ্ন, যা এর সমন্বিত যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিক্রিয়া এবং সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক প্রভাব রাখার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।’
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে, ডিফেন্স নিউজ জানায়, চীন পাকিস্তানে পরীক্ষার জন্য তার তিনটি জেড-১০ হেলিকপ্টার গানশিপ পাঠিয়েছিল, কিন্তু তারা কর্মকর্তাদের যথেষ্ট প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হয়েছিল এবং তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে, আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, এই অত্যাধুনিক, সব আবহাওয়ায় উপযুক্ত হেলিকপ্টারগুলো দিনরাত নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম।
উন্নত রাডার সিস্টেম এবং অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট দিয়ে সজ্জিত, জেড-১০ এমই বিভিন্ন আকাশ ও স্থল হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে সক্ষম বলেও জানানো হয়।
এছাড়া মুজাফফরগড় ফায়ারিং রেঞ্জে সৈন্যদের সাথে মতবিনিময়কালে, অসীম মুনির তাদের ব্যতিক্রমী মনোবল, পেশাদারিত্ব এবং যুদ্ধ দক্ষতার প্রশংসা করেন।
এছাড়া তিনি সম্মিলিত অস্ত্র কৌশলের সফল প্রদর্শনের প্রশংসা করেন, যা যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান সাফল্যের জন্য সেনাবাহিনীর দৃঢ় সংকল্পকে প্রতিফলিত করে।
এমআর/টিকে