গত মাস থেকে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড় উইফার প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে থাইল্যান্ডজুড়ে ছয়জন নিহত ও দুই লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
থাইল্যান্ডের দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগ জানিয়েছে, ২১ জুলাই থেকে ভারি বর্ষণে দেশটির ১২টি প্রদেশ প্লাবিত হয়েছে, যেগুলোর বেশির ভাগই উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত।
সরকারি ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে সংস্থাটি আরো বলেছে, ‘আমরা উইফা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছি।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে ঘোলাটে বন্যার পানি, বাড়ির সামনে বালুর বস্তার স্তূপ এবং প্লাস্টিকের নৌকা ব্যবহার করে পানিতে তলিয়ে যাওয়া সড়কে বাসিন্দাদের চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
তবে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডে প্রতিবছর মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত হয়। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন আরো তীব্র ও অস্বাভাবিক আবহাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা বিধ্বংসী বন্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
২০১১ সালে থাইল্যান্ডজুড়ে ভয়াবহ বন্যায় পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত ও দেশজুড়ে লক্ষাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এমআর/টিকে