ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তেহরান ও ইসলামাবাদের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ইতিবাচক এবং উভয় দেশের বার্ষিক বাণিজ্য ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আজ শনিবার (২ আগস্ট) পাকিস্তান সফরের আগে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তেহরান-ইসলামাবাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’
দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং সীমান্ত নিরাপত্তাসহ নানা খাতে সহযোগিতা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি ইরান ও পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধনের কথাও তুলে ধরেন প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের সময় পাকিস্তান যেভাবে তীব্রভাবে এর নিন্দা জানিয়েছে এবং ইরানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুতি প্রকাশ করেছে, তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান পেজেশকিয়ান।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত বাণিজ্য বাড়ানো হবে এই সফরের প্রধান অগ্রাধিকার। স্থল, নৌ ও আকাশপথে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংযোগ আরও জোরদার করতে চায় ইরান।’
পেজেশকিয়ান বলেন, ‘পাকিস্তানের মাধ্যমে ইরান চীন-পাকিস্তান করিডোর এবং প্রাচীন সিল্ক রোডের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, যা ইরান হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইরান ও পাকিস্তান উভয়ের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর সেটা অর্জন সম্ভব একমাত্র পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে।’
পেজেশকিয়ান অভিযোগ করেন, শত্রুরা মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়, কিন্তু ইরান এসব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেবে। তেহরান চায় পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় থাকুক।
টিকে/