আওয়ামী লীগের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিযোগে সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন পুলিশের কর্মকর্তা বলে যে তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
বার্তায় বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘সুমাইয়া জাফরিন’ নামে এক নারীকে বাংলাদেশ পুলিশের এএসপি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। সকলের বিভ্রান্তি নিরসনের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ পুলিশে ‘সুমাইয়া জাফরিন’ নামে কোনো নারী কর্মকর্তা নেই।
এর আগে গত ৩১ জুলাই বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা জানান, আওয়ামী লীগের কর্মীদের মেজর সাদিক নামে সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বলে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেজর সাদিককে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মেজর সাদিকের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। যদিও বিষয়টি তদন্তাধীন, তারপরও আমি বলবো যে এরকম একটা ঘটনার কথা জানার পর তিনি সেনাবাহিনী হেফাজতে আছেন এবং তদন্ত চলমান। তদন্তে তার দোষ প্রমাণিত হলে নিঃসন্দেহে সেনাবাহিনীর প্রচলিত নিয়মে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন এএসপি হিসেবে কর্মরত বলে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি সাদিকের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন বলেও দাবি করা হয়।
টিকে/