বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা তনুশ্রী দত্ত আবারও সামনে আনলেন নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা। ঝলমলে পর্দার পেছনে লুকিয়ে থাকা নির্মম বাস্তবতার কথা বলতে গিয়ে যেন কেঁপে উঠল সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়। ‘আশিক বানায়া আপনে’ খ্যাত এই অভিনেত্রী এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জানালেন, কীভাবে ক্যারিয়ারের শুরুতেই তাকে হতে হয়েছিল নানাভাবে মানসিক এবং শারীরিক হেনস্তার শিকার।
২০০৫ সালে ‘চকোলেট’ ছবির শুটিং চলাকালে তনুশ্রী দত্তের জীবনে ঘটে এমন এক ঘটনা, যা আজও তাকে তাড়া করে বেড়ায়। ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে তোলেন বিস্ফোরক অভিযোগ। জানান, শুটিং না থাকলেও তাকে বারবার সাহসী পোশাকে সেটে হাজির থাকতে বাধ্য করা হতো। এমনকি নিজেকে ঢাকতে গেলেও তা করতে দেওয়া হতো না।
তনুশ্রীর কণ্ঠে স্পষ্ট ক্ষোভ— ‘‘শর্ট স্কার্ট পরে বসে থাকতাম। রোব পরতে চাইলে বলা হতো ‘না, শট আসছে, খুলে ফেলো’।’’ এমনকী এমন একটি দৃশ্যেও তাকে কাপড় খুলে নাচতে বলা হয়েছিল, যেখানে তার উপস্থিতির প্রয়োজনই ছিল না।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন অভিনেতা ইরফান খান ও সুনীল শেঠি। তনুশ্রী বলেন, ‘‘ওই মুহূর্তে আমি হতবাক। কিন্তু ইরফান ও সুনীল না থাকলে জানি না কী হতো।’’
তনুশ্রী দত্তই ২০১৮ সালে বলিউডে ‘মি টু’ আন্দোলনের সূচনা করেন। সে সময় তিনি জানান, ২০০৯ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির শুটিং চলাকালে বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকর তাকে যৌন হেনস্তা করেন। শুধু শারীরিক নয়, মৌখিকভাবেও তাকে অপমান করা হয়।
এই সাহসী অভিনেত্রীর কণ্ঠে উঠে এল এক ভয়াবহ বলিউডের মুখ, যেখানে নারীকে শুধু শরীর হিসেবেই দেখা হয়, যেখানে সম্মান নয়, শর্ত হলো— চুপ থাকো, সহ্য করো, কিংবা সরে যাও।
এসএন