গ্রুপপর্বেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্সকে পেয়েছিল ভারত। কিন্তু পেহেলগাম হত্যাকাণ্ড ও এর পরবর্তী যুদ্ধের জের ধরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসের (ডব্লিউসিএল) সেই ম্যাচটি খেলতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত চ্যাম্পিয়ন্স। ফলে পাকিস্তান মাঠে এলেও না খেলেই পূর্ণ পয়েন্ট পায়। সেমিফাইনালে আবার দুই দলের ম্যাচ পড়ে। এবারও শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, ইরফান পাঠান ও ইউসুফ পাঠানরা খেলেননি।
ভারত ওয়াকওভার দেওয়ায় ফাইনালে উঠে পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের ফাইনালে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্সের মুখোমুখি হয়েছিল তারা।
বার্মিংহামের ফাইনালে এবি ডি ভিলিয়ার্সের তাণ্ডবে রীতিমতো উড়ে গেছে মোহাম্মদ হাফিজের নেতৃত্বাধীন দল। ম্যাচ শেষে পাকিস্তানকে খোঁচা মেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সুরেশ রায়না।
ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ ওভারেই ৭২ রান তোলে। পাওয়ার প্লের শেষ বলে হাশিম আমলা আউট হয়ে যান। সাঈদ আজমলের বলে আউট হওয়ার আগে ১৪ বলে ২ চারে ১৮ রান করেন আমলা। ম্যাচের বাকি সময়টা পাকিস্তানি বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান ডি ভিলিয়ার্স ও ডুমিনি।
দুজনের জুটি দলকে ২৩ বল বাকি থাকতে জয় এনে দেয়। এই পথে আসরে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান ডি ভিলিয়ার্স। মাত্র ৬০ বলে ১২ চার ও ৭ ছক্কায় ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি খ্যাত এই ব্যাটার। জেপি ডুমিনিও অর্ধশতক হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন। ২৮ বলে তিনি খেলেন ৫০ রানের ইনিংস। ম্যাচটি তারা ৯ উইকেটে জিতে।
দারুণ ইনিংসের জন্য ডি ভিলিয়ার্সের প্রশংসা করেছেন ভারতের সুরেশ রায়না। সেই সঙ্গে বলেছেন, তারা খেললেও পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিতেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে রায়না লেখেন, ‘ফাইনালে এবি ডি ভিলিয়ার্সের কী দারুণ একটা ইনিংস, একেবারে চূর্ণবিচূর্ণ করা। আমরাও খেললে গুঁড়িয়ে দিতাম। কিন্তু আমাদের কাছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশ।’
এমআর/টিকে