জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এই ঐতিহাসিক এক দফা কোন ব্যক্তি, দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়নি। সেদিন এই এক দফা ঘোষণা করা হয়েছিলো বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে। ফলে এক দফার প্রকৃত ঘোষক হলেন বাংলাদেশের জনগণ।
রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এনসিপির সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৩ আগস্ট। এক বছর পার হচ্ছে এ দিনের। ঠিক এক বছর আগে আমরা শহীদ মিনারে সমাবেত হয়েছিলাম। আজকের এই দিনে বাংলাদেশের মানুষ, এই ঢাকা শহরের মানুষ শহীদ মিনারে নেমে এসেছিল। এখান থেকে আমরা ফ্যাসিবাদি বিলুপের ঐতিহাসিক ১ দফা ঘোষণা করেছিলাম।
এই সমাবেশে সেকেন্ড রিপাবলিকের ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন নাহিদ ইসলাম।
ইশতেহারগুলো হলো-
১। নতুন সংবিধান ও সেকেন্ড রিপাবলিক, ২। জুলাই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি ও বিচার, ৩। গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, ৪। ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থা ও আইন সংস্কার, ৫। সেবামুখী প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন, ৬। জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ৭। গ্রাম পার্লামেন্ট ও স্থানীয় সরকার, ৮। স্বাধীন গণমাধ্যম ও শক্তিশালী নাগরিক সমাজ, ৯। সার্বজনীন স্বাস্থ্য, ১০। জাতিগঠনে শিক্ষানীতি, ১১। গবেষণা, উদ্ভাবন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব, ১২। ধর্ম, সম্প্রদায় ও জাতিসত্বার মর্যাদা, ১৩। নারীর নিরাপত্তা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন, ১৪। মানবকেন্দ্রিক ও কল্যাণমুখী অর্থনীতি, ১৫। তারুণ্য ও কর্মসংস্থান, ১৬। বহুমুখী বাণিজ্য ও শিল্পায়ন নীতি, ১৭। টেকসই কৃষি ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব, ১৮। শ্রমিক-কৃষকের অধিকার, ১৯। জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ২০। নগরায়ন, পরিবহন ও আবাসন পরিকল্পনা, ২১। জলবায়ু সহনশীলতা ও নদী-সমুদ্র রক্ষা, ২২। প্রবাসী বাংলাদেশির মর্যাদা ও অধিকার, ২৩। বাংলাদেশপন্থী পররাষ্ট্রনীতি, ২৪। জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল।
এসএন