বর্তমানে ইন্টারনেটে যে কেউ হঠাৎ ভাইরাল হতে পারে। অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়াই ভাইরাল হতে দেখা যায় কোনো বিষয় বা মানুষকে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে জাপানের এক নারী সাওরি আরাকির সাথে। যিনি অনলাইনে ‘সাও’ (SAO) নামে পরিচিত।
জাপানের সংবাদমাধ্যম টোকিও উইকেন্ডার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই নারী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। যেটি ৮ কোটিরও বেশি ভিউ হয়েছে। সেই ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছে মিম, মুগ্ধতা, এমনকি মার্কিন অভিনেত্রী সিডনি সুইনির সঙ্গে তুলনাও করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম টোকিও উইকেন্ডারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক্স হ্যান্ডেল ব্যবহারকারীদের অনেকে এরইমধ্যে সেই ছবিটি দেখেছেন। ধূসর রঙের আঁটসাঁট স্যুট ও সাদা শার্ট পরে দুই হাতে ল্যাপটপ ধরে দাঁড়িয়ে আছেন সাওরি। হালকাভাবে গাল ফোলানো এবং চোখে লাজুক এক অভিব্যক্তি। মাথার চুল পেছনে হালকা করে বাঁধা, কপালে সামনে ছাঁটা চুল।
গত ২৫ জুলাই পোস্ট করা ছবিটিতে লেখা ছিল শুধু ‘গুড মর্নিং’। ছবিটি ইতোমধ্যে ৮ কোটিরও বেশি ভিউ, ২ লাখ ২৮ হাজার লাইক, ১৬ হাজার রিপোস্ট ও আড়াই হাজার কমেন্ট পেয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সাওরি আরাকি। বর্তমানে জাপানে একটি অফিসে কর্মরত আছেন তিনি। পাশাপাশি একজন মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবেও কাজ করেন। তিনি আগে জে-পপ গার্ল গ্রুপ ‘টোকিও গার্লস ব্রাভো’র সদস্য ছিলেন। গ্রুপটিতে ‘আরাকি সাওরি’ নামে পরিবেশনা করতেন এ তরুণী।
১৯৯৬ সালের ১৩ মে জাপানের নাগাসাকি শহরে জন্মগ্রহণ করেন সাওরি। হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন তিনি। আর সেই জনপ্রিয়তাকেই কাজে লাগিয়ে নেটিজেনদের সঙ্গে যোগাযোগে সক্রিয় হয়েছেন সাওরি। এরইমধ্যে ইনস্টাগ্রামে ২ লাখ ২৪ হাজার অনুসারী হয়েছে। তার মার্জিত চেহারা, পরিশীলিত ভঙ্গিমা ও বিনয়ী অথচ অদ্ভুত ব্যক্তিত্বে মন ছুঁয়ে গেছে সবার।
সাওরি তার ইনস্টাগ্রামে কিছু ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, ভাইরাল হওয়া ছবিটি মূলত একটি করপোরেট ফটোশুটের ছিল। আর বিশ্বজুড়ে এভাবে পরিচিতি লাভ করার পর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
কেএন/টিএ