মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আন্দোলনে পঙ্গু হওয়া শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ইমরান। ৪ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তিনি এই সাক্ষ্য দেন। স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ইমরান আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে তিনি স্থায়ীভাবে পঙ্গু হন।
এর আগে মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ। তিনি জানান, যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ পাখির মতো গুলি চালায়। শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান, ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইজিপি মামুন ও শামীম ওসমান সবাই দায়ী।
খোকনের বক্তব্যে উঠে আসে আন্দোলনে গণহত্যার দৃশ্যপট এবং নিজে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা। তিনি বলেন, পুলিশ তাঁদের টার্গেট করে গুলি করে। গুলি তাঁর চোখ, নাক ও মুখে লাগে। যাতে তাঁর মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যায়। এ সময় সাক্ষী খোকন চন্দ্র বর্মণ মাস্ক খুলে মুখ দেখান।
এর আগে শুরুতেই বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা চান। পরে সূচনা বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মামলার বিচার কার্যক্রমের শুরুতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তবে নিরাপত্তার কারণে সাক্ষীর জবানবন্দির সময় সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ ছিল।
এমকে/টিএ