অমিমাংসিত ইস্যুর জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক আটকে রাখতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার। দেশটির সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমনটাই জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৩ আগস্ট ঢাকায় আসবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার সফরে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ইস্যুজ আছে, স্বার্থের প্রশ্ন আছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রশ্ন আছে। সব মিলিয়ে দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কের সব কিছু টেবিলে থাকবে। কোনটা কতটুকু আমরা এগোতে পারব সেটা আপনারা জানতে পারবেন মিটিং যখন শেষ হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চাই।
তিনি বলেন, আবার ডেলিভারেটলি তাদের সম্পর্ক ভালো রাখব না, এ রকম সিদ্ধান্ত যেটা ছিল (বিগত সরকারের) সেটা থেকে আমরা বের হয়েছি। আমরা অন্যান্য দশটা দেশের সঙ্গে যে রকম সম্পর্ক পাকিস্তানের সঙ্গে সেরকম সম্পর্ক চাই এবং সেটাই কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি।
একাত্তরের জন্য ক্ষমাচাওয়া ও পাওনার হিস্যে আসবে কিনা-জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি ইস্যু থাকবে। যেটা পঞ্চাশ বছরে পারা যায়নি সেটা যে ঝট করে ছয় মাসে পারব এমন কোনো কথা নেই। আমরা একটা বাস্তবসম্মত উপায়ে আগাবো। একটা ইস্যু আরেকটা ইস্যুকে আটকে রাখবে সেটা আমরা কখনো চাই না।
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের মনোভাব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা আমি ডিসাইড করব না। একইভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে সেটাও নিশ্চই ভারত ডিসাইড করবে না।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে নিয়ে চীনের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ আলোচনায় আসার বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, আসলে এটা নিয়ে কোনো বডি (জোট) হয়নি। একটা মিটিং হয়েছে ইনফরমাল। কিছুদিন পরও আরেকটা মিটিং হতে পারবে না এমন কোনো কথা নাই। আমরা চাই, আরও ব্রড বেইসড হোক। আরও দুই একটা দেশ আসুক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ঢাকা সফরকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে। আগামী ২৪ আগস্ট বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া, ইসহাক দার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা।
এসএন