প্রশাসনিক সহায়তায় হয়তো নেতৃত্ব প্রদর্শন করা যায়, কিন্তু জনগণ সহায়তা করলে নেতৃত্ব দেওয়া যায়, নেতাকর্মীদের এমন বার্তা দিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জনগণে আস্থায় থাকতে এবং রাখতে নেতাকর্মীদের আহবানও জানিয়েছেন তিনি। বলেন, কথামালার রাজনীতি বা প্রতিশ্রতি নয়, এবার এর বাস্তবায়ন চায় দেশের মানুষ। যার জন্য নিশ্চিত করতে হবে ভোটের অধিকার।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান শোক ও বিজয় আয়োজিত’ যুব-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল।
তারেক রহমান বলেন, আমাদের আগামী দিনের নীতি জনবান্ধব রাজনীতি। এই বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। জনগনের আস্থা অর্জন করতে পারলেই আপনি নেতা। জনগণ প্রত্যাখ্যান করলে আপনি নেতা নন।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের শহীদদের আমরা যদি সত্যিকারের সম্মানিত করতে চাই, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যারা নিজেদের অধিকারের কথা বলতে চেয়েছিলেন, তাদের ত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। দেশের ছাত্র ও যুব সমাজ যারা দেশকে গড়ে তুলবে, এগিয়ে নেবে, যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রত্যাশিত দেশ গড়ে তুলব আমরা।
এসময় স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কর্মমুখী শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেন তিনি। বলেন, কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালুর মধ্যদিয়ে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি আমাদের লক্ষ্য। এছাড়া ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উৎপাদন ও রপ্তানি নিয়েও কাজ চলছে জানিয়ে, তরুণদের জন্য বহু ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করা ঘোষণাও দেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের রায়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে, সারাদেশের স্বাস্থ্য সেবাখাতকে নতুন করে সাজানো হবে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রতিটি গ্রামে এই সেবা পৌঁছে যাবে। সম্পৃক্ত হবেন নারীরাও।
তারেক রহমান বলেন, জনগণ প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়। আর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জনসমর্থন ও জনগণের সহযোগিতা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দিয়েছিলেন যারা, ইতিহাসে তারা শহীদ- তরুণ স্বপ্নযোদ্ধা। সেই স্বপ্নযোদ্ধার তালিকায় রয়েছে ৭৮ যুবদলের কর্মীর নাম।
‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বললেন, ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রকে নতুন করে বির্নির্মাণ করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং সেই চ্যালেঞ্জ বরাবরের মতো বিএনপিকেই নিতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন, আমরা পরস্পর পরস্পরে কাদা ছোড়াছুড়ি না করি। একটা সুযোগ পেয়েছি বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্রকে তৈরি করার। দেশকে আবার অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশকে সেই দিকে এগিয়ে যাই। মাথা উচু করে দাঁড়াই, সফল হবো।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সম্মাননা স্মারক দেয় জাতীয়তাবাদী যুবদল।
ইউটি/টিএ