স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ১৬টি সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আরও ৪৩টি সংস্কারকাজ সমাপ্ত হওয়ার পথে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’-এ জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, স্বৈরাচার আমলে দলীয় বাহিনীতে পরিণত হওয়া ভঙ্গুর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ সদর দপ্তরে একটি ‘সেল’ কার্যকর করা হয়েছে, যেখানে মানবাধিকারসহ পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে সংঘটিত যেকোনো অপরাধের বিষয়ে অভিযোগ করা যায়। এই সমস্ত ‘সেল’ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধান কার্যালয়েও স্থাপন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ হবে স্বচ্ছ কাচের ঘরে। হাজতখানায় বন্দিদের মানবিক সেবা নিশ্চিত করা হবে, অভিযান পরিচালনার সময় পুলিশ যেন জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম ডিভাইসসহ বডি-ক্যামেরা পরিধান করেন তা নিশ্চিত করা হবে। পুলিশ যেন আর কখনোই কোনো আন্দোলন দমনে প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বেআইনি সমাবেশে বলপ্রয়োগের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের স্বীকৃত পাঁচটি ধাপ অনুযায়ী পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এমকে/টিএ