ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইসলামী মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ তরুণদের আন্দোলন দেখে বিভ্রান্ত ও আতঙ্কিত বামপন্থি গোষ্ঠী এখনো পুরনো 'পাকিস্তানপন্থি' তকমার রাজনীতিতে আশ্রয় নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।
তিনি বলেন, “এই দেশে তরুণদের মুসলিম আত্মপরিচয়ে ফেরার ঘটনাকে বামরা পাকিস্তান বলে ট্যাগ করতে চায়। অথচ এই ট্যাগ যে আর কাজ করবে না, সেটা তারাও জানে। তবুও রাজনীতি করার মতো বোধ বা নতুন কোনো ভাষা তাদের নেই। ঠিক যেভাবে গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার শাসনেও ‘রাজাকার’, ‘পাকিস্তানি’, ‘খুনির দোসর’—এসব তকমা দিয়ে মানুষকে নিশ্চিহ্ন করার রাজনীতিই একমাত্র কৌশল ছিল।”
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. গালিব আরও বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দশজন ছাত্র-ছাত্রী মিলে বাম একজনকে দেখলাম শ্লোগান দিতেছে, সাদিক কায়েম পাকিস্তানি। কী একটা অবস্থা! হাসিনার ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি ‘পাকিস্তানি’ যুবকের হাত ছাড়া হইল না!”
তার ভাষায়, “এই ‘পাকিস্তানি’ তকমা বামদের আত্মরক্ষার শেষ অস্ত্র। কারণ, তারা জানে ইসলামী চেতনায় উজ্জীবিত এই নতুন প্রজন্মকে মোকাবিলা করার মতো কোনো রাজনৈতিক ভাষা বা ভিত্তি তাদের নেই।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত একদলীয় শাসনে গত ১৫ বছর ধরে রাজনীতি বলতে ছিল— যাকে অপছন্দ, তাকে রাজাকার বলো, পাকিস্তানপন্থি বলো, মব নামাও, রায় দিয়ে দাও, প্রয়োজনে গুম করে দাও।”
গালিব দাবি করেন— “বর্তমান সময়ের তরুণরা সেই রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এবং নিজের ইতিহাস, পরিচয় ও বিশ্বাসের জায়গা থেকে রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে ভাবছে। এটাই বামদের জন্য ভয়াবহ বিপদের বার্তা।”
তিনি উল্লেখ করেন—“বামদের শেষ আশ্রয়—ট্যাগিং রাজনীতি—আজ ধসে পড়েছে। শাহবাগের মঞ্চ, যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে প্রতিহিংসা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, গুম, ক্রসফায়ার—সবই জনগণের সামনে আজ একে একে উন্মোচিত হচ্ছে। এটাই তাদের অস্থিরতা, এটাই তাদের পাগলামি।”
শেষাংশে ড. মির্জা গালিব বলেন, “এই দেশে মুসলিম আত্মপরিচয়ের রাজনীতি আর কখনোই ট্যাগ দিয়ে দমন করা যাবে না। তরুণ প্রজন্ম তার অতীত জানে, বর্তমান বুঝে, আর ভবিষ্যৎ গড়তে চায় ইসলামি চিন্তা দিয়ে। সেই পথেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।”
এফপি/ টিএ