ছোট্ট একটি পুতুল, নাম তার লাবুবু। বড় বড় চোখ, মুখে না থাকা সত্ত্বেও ভয়ংকর দাঁতের ঝলক—আর তাতেই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় হাহাকার। শিশুরা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্করাও এই পুতুলকে ব্যাগে, ঘরের শোভাবর্ধনে কিংবা ফ্যাশনের অঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন এই লাবুবুকে ঘিরে অশুভ এক রহস্যের জন্ম হয়েছে।
এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা থেকে বাদ যাননি কৌতুকশিল্পী ভারতী সিংহ-ও। সম্প্রতি নিজের এক ব্লগে তিনি জানান, লাবুবু পুতুল বাড়িতে আসার পর থেকেই অশুভ কিছু যেন ছায়া ফেলেছে তাদের জীবনে। এমনকি তাঁর তিন বছরের ছেলের আচরণেও দেখা গেছে অস্বাভাবিক পরিবর্তন।
ভারতীর ভাষায়, "যে দিন থেকে এই লাবুবু এসেছে, সেই দিন থেকে গোল্লা খুব বেশি দুষ্টু হয়ে গিয়েছে। অকারণে চিৎকার, জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলা—সবই একসঙ্গে ঘটতে থাকে।" প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও পরে তা ভয় পাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছায়। শেষ পর্যন্ত ক্যামেরার সামনেই তিনি লাবুবু পুতুলটি পুড়িয়ে দেন।
জানা গেছে, এই পুতুলটি এনেছিলেন ভারতীর স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়া, ছেলে গোল্লার জন্য। কিন্তু পুতুল আসার পর থেকেই গোল্লার মধ্যে যেমন অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, তেমনি বাড়িতেও অশান্তি বাড়তে থাকে। এমনকি যখন ভারতী এই পুতুলটি সঙ্গে করে বাইরে বের হতেন, তখন অনেকেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করতেন, "এটা কী জিনিস?"
ভারতী বলেন, “হয়তো আমি একটু বেশিই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি। কিন্তু আমি আর ঝুঁকি নিতে পারছি না।” নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে এতটাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন যে এক মুহূর্ত দেরি না করে পুতুলটিকে আগুনে পুড়িয়ে দেন।
অতীতেও বহুবার পুতুলকে ঘিরে ভয় ও বিশ্বাসের মিশ্র অভিজ্ঞতা সামনে এসেছে, তবে লাবুবু যেন সে তালিকায় আরও একটি নাম যুক্ত করল। সামাজিক মাধ্যমে এই পুতুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর অভিযোগও এখন ক্রমেই বাড়ছে। ফলে অনেকে এখন প্রশ্ন তুলছেন—শুধুই ফ্যাশন, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে ভয়ের এক অদৃশ্য গল্প?
এসএন