মাস দুই আগে শোনা গিয়েছিল, রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেন সঞ্জু স্যামসন। জল্পনা ছিল, চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছেন সঞ্জু।
অনেকেই ভেবেছিলেন, মহেন্দ্র সিং ধোনির বদলি পাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে সিএসকে। যদিও সেই সম্ভাবনা বিশ বাঁও জলে। তাঁকে পেতে গেলে এখনও অপেক্ষা করতে হবে সিএসকে’কে।
জানা গিয়েছে, দলের অধিনায়ককে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৬ মরশুম পর্যন্ত রাজস্থানেই থাকছেন সঞ্জু। রাজস্থানের এক গুরুত্বপূর্ণ কর্তা জানিয়েছেন, “সঞ্জু-সহ অন্য কোনও ক্রিকেটারকেও এই মুহূর্তে সরাসরি বিক্রি করা হবে না। সঞ্জুকে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবেই দেখা হয়। ও-ই দলের ক্যাপ্টেন।”
২০১২ সাল থেকে আইপিএলে খেলছেন সঞ্জু। প্রথম বছর কেকেআরে থাকলেও সেভাবে খেলার সুযোগ পাননি। ২০১৩ সালে তাঁকে সই করায় রাজস্থান। প্রথম দফায় ৩ মরশুম রাজস্থানের হয়ে খেলেন। ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে খেলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে। এর পর ২০১৮ সালে তাঁকে আবার কিনে নেয় রাজস্থান। তারপর থেকেই রাজস্থানের মুখ হয়ে উঠেছেন সঞ্জু। ২০২১ সালে তাঁকে অধিনায়ক করা হয়। তাঁর অধিনায়কত্বে ২০২২ সালে ফাইনালে ওঠে রাজস্থান। ২০২৪ সালেও দলকে প্লে-অফে তোলেন সঞ্জু।
গত মরশুমে চোটের জন্য সবক’টি ম্যাচ খেলেননি তিনি। প্রথম তিনটি ম্যাচে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় সহ-অধিনায়ক রিয়ান পরাগকে। পরের দিকেও আরও পাঁচ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন পরাগ। চোট পাওয়া ওই ম্যাচগুলি খেলতে পারেননি সঞ্জু। শোনা যাছে, শুধু চোট নয়। এ বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও মতানৈক্য দেখা দিয়েছে সঞ্জুর। এমনকী কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গেও তাঁর মতানৈক্যের খবর পাওয়া গিয়েছে। এরই মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় সঞ্জু দুই শব্দের পোস্টে টুইটারে লিখেছেন, ‘টাইম টু মুভ…!’ সঙ্গে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর হাঁটার ছবি। হঠাৎ সোশাল মিডিয়ায় সঞ্জুর এই পোস্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছিল। তবে আপাতত সেসব যে নিছকই জল্পনা ছিল, তা রাজস্থান কর্তার কথায় পরিষ্কার। সুতরাং, ধোনির বিকল্প হিসেবে অন্য কাউকে ভাবতে হবে সিএসকে’কে।
এফপি/ টিএ