যশোরের কেশবপুর থানায় ঢুকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে মারমুখী আচরণ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে যশোর শহর থেকে আটকের পর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জামায়াত নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার অজিয়ার রহমান পেশায় আইনজীবী এবং জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন পেশাজীবী পরিষদের কেশবপুর উপজেলা সভাপতি। তিনি ছাত্রশিবিরের যশোর জেলা পূর্ব শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে গত রোববার কেশবপুর থানার এস আই মোকলেছুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে থানায় অনধিকার প্রবেশ, কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাকে হুমকি এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
কেশবপুর পৌর জামায়াতের আমির জাকির হোসেন আটক অজিয়ার রহমানের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অজিয়ার রহমান জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত এবং ছাত্রশিবিরের যশোর জেলা পূর্ব শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন।’
থানা সূত্রে জানা যায়, অজিয়ার রহমানকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
যশোর আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন বলেন, দুপুরে কেশবপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অজিয়ার রহমানকে হাজির করা হয়। বিচারক আঞ্জুমারা খাতুন তাকে জামিন দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার প্রক্রিয়া অনুযায়ী তদন্ত কাজ চলছে এবং গ্রেপ্তার অজিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এস আই মকলেসুর বলেন, ‘অজিয়ারের চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলামের নামে একটি মামলা করা হয়, যা নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ হন। এ কারণে অজিয়ার থানায় ঢুকে অকথ্য ভাষায় হুমকি ও পুলিশি কাজে বাধা দেন।’
হুমকির এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যাতে দেখা যায়, অজিয়ার রহমান থানায় উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে অপমান করছেন। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি আওয়ামী লীগের লোকের মতো আচরণ করছেন।’ জবাবে কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি কেন রাজনীতি করব?’
এ বিষয়ে জামায়াত নেতাদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানো হলেও পৌর জামায়াতের আমির জাকির হোসেন বলেছেন, ‘থানায় গিয়ে হুমকি দেওয়া ঠিক হয়নি, এটি তার (অজিয়ার রহমানের) ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।’
এফপি/ টিএ