এনসিএলে ম্যাচ পাচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম, সিলেটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরও ২ ভেন্যু

এনসিএল টি-টোয়েন্টির তৃতীয় আসর হবে ৩ ভেন্যুতে। বাংলাদেশের যেকোনো টুর্নামেন্টে ভেন্যু হিসেবে সাধারণত মিরপুর শের-ই বাংলা এবং চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। তবে এবারের এনসিএলটা ভিন্নভাবে সাজাতে চাইছে বিসিবি। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে রাখা হয়নি কোনো ম্যাচ। সিলেটের সঙ্গে ভেন্যু হিসেবে থাকছে রাজশাহী এবং বগুড়া।

লম্বা সময় পর গত বছর মাঠে ফিরেছিল এনসিএলের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট৷ অনেকটা পরীক্ষামূলকভাবেই টুর্নামেন্টটা চালু করে আশার আলো দেখতে পায় বিসিবি। তাই এবার আরও বড় পরিসরে এবং জাঁকজমকভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চাইছে বিসিবি। দল সংখ্যা না বাড়লেও এবারের আসর নিয়ে বিসিবির প্রস্তুতিতে ভিন্নতা দেখা গেছে।


এনসিএলের গত আসরে সবগুলো খেলা হয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। তবে এবার ভেন্যু নিয়ে বেশ দুরদর্শী পরিকল্পনায় এগিয়েছে বিসিবি। প্রথমত, একটি ভেন্যুর বদলে ভেন্যু করা হয়েছে ৩টি। দ্বিতীয়ত, বেছে নেয়া সবগুলো ভেন্যুই হয় ব্যাটিং সহায়ক, নয়তো স্পোর্টিং ধরনের। অর্থাৎ স্লো এবং লো পিচের চক্র থেকে কিছুটা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে বিসিবি। 

এবার সিলেটের সঙ্গে ভেন্যু হিসেবে থাকছে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম এবং রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম। গত কয়েক বছর ধরেই সিলেটের উইকেট স্পোর্টিং ধরনের এবং ব্যাটিং সহায়ক। রাজশাহীতে সর্বশেষ হাই পারফরম্যান্স দলের সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং সহায়ক উইকেট দেখা গেছে। আর ২০০৬ সালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা বগুড়ার উইকেটও স্পোর্টিং ধরনেরই। তাই এই ৩ ভেন্যুতে খেলা আয়োজন করে ভবিষ্যতের জন্য ভালো টি-টোয়েন্টি পাইপলাইন তৈরি করার কথা ভাবছে বিসিবি।

বগুড়া এবং রাজশাহীর ভেন্যুতে হবে গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো। টুর্নামেন্টের শেষদিকের ম্যাচগুলো হবে সিলেটে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) কমিটির মিটিং শেষে এসব কথা জানিয়েছেন টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।

এবারের এনসিএলে থাকছে আরও নতুনত্ব। প্রথমবারের মতো ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টে ডে-নাইট ম্যাচ আয়োজিত হতে যাচ্ছে। তবে সব ম্যাচ ডে-নাইট হচ্ছে না। সিলেটে অনুষ্ঠিতব্য সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ হবে ফ্লাডলাইটের আলোয়। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও বিসিবির সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এনসিএলের আসন্ন আসর। ৪ অক্টোবর ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে টুর্নামেন্টের।

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মালয়েশিয়ার পথে প্রধান উপদেষ্টা, পাঁচ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরের সম্ভাবনা Aug 10, 2025
img
গণতন্ত্র মানে অন্যের মতকে সম্মান দেওয়া : আমীর খসরু Aug 10, 2025
img
রেস্টুরেন্টের লাইসেন্স নিতে ১৯টি অনুমতি লাগে, এদেশে বিনিয়োগ করবে কে: খসরু Aug 10, 2025
img
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দুর্নীতি প্রশ্রয় দিতেন না: দুদক চেয়ারম্যান Aug 10, 2025
img
একাকিত্ব দুর করতে যে কাজটি করেন করণ জোহর Aug 10, 2025
img
বাংলা ছবির শেষ দৃশ্যের মতো সরকার বলে, ‘মব’ করবেন না : আব্দুন নূর তুষার Aug 10, 2025
img
ভারতের উন্নতি হজম করতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র : ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি Aug 10, 2025
img
কাজে যোগ দিলেন হেমিং Aug 10, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরে গুরুত্ব পাবে শ্রমবাজার Aug 10, 2025
img
কোরিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে সমতা নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ Aug 10, 2025
img
সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুরসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Aug 10, 2025
img
পিলখানায় ২৫ আগস্ট থেকে ৪ দিনব্যাপী বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন Aug 10, 2025
img
অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের ঝড় ‘ধূমকেতু’র Aug 10, 2025
img
আজকাল মানুষ অন্যায়ের প্রতিরোধ না করে ভিডিও করতে ব্যস্ত থাকে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Aug 10, 2025
img
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টিপাত Aug 10, 2025
img
ম্যানইউর দলবদলে এখনো শীর্ষ পছন্দ মার্তিনেজ Aug 10, 2025
img
আবারও মঞ্চে ফিরছেন অভিনেতা আফজাল হোসেন Aug 10, 2025
img
চাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সুচেসকে ২০ বছরের কারাদণ্ড Aug 10, 2025
img
সাইফের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত Aug 10, 2025
img
মার্কিন সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক Aug 10, 2025