জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার এই বন্দুকযুদ্ধ নবম দিনে গড়িয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে অঞ্চলের অন্যতম দীর্ঘতম সংঘর্ষ এটি। সন্ত্রাসীরা ঘন বনাঞ্চলে সুসংগঠিতভাবে অবস্থান নেওয়ায় অভিযান দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
চিনার কর্পস এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছে, ‘জাতির জন্য কর্তব্যরত অবস্থায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী সাহসী যোদ্ধা ল্যান্স নায়েক প্রীতপাল সিং ও সিপাহী হরমিন্দর সিংকে সশ্রদ্ধ সালাম। তাদের সাহস ও নিষ্ঠা আমাদের চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।’
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ‘রাতভর সংঘর্ষে আরো দুই সেনা আহত হয়েছেন, ফলে এ পর্যন্ত মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে।’
এটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বৃহৎ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, যেখানে শতাধিক সেনা অংশ নিচ্ছেন। সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতে সেনারা ড্রোন ও আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন। ড্রোন থেকে লক্ষ্যভেদী বিস্ফোরকও নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার সেনা, পুলিশ ও সিআরপিএফ যৌথভাবে অভিযান শুরু করে। প্রাথমিক সংঘর্ষে এক স্থানীয় সন্ত্রাসী নিহত হয়। অভিযান তদারকিতে নিয়মিত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন সেনা ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ মহাপরিদর্শক নলিন প্রভাত বলেছেন, ‘জটিল ভূপ্রকৃতি ও বনাঞ্চলের কারণে সময় লাগছে। কিন্তু আমরা তাদের খুঁজে বের করবই।’ পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযানের শুরুতে পাঁচজন সন্ত্রাসীর উপস্থিতির খবর ছিল, যাদের মধ্যে অন্তত তিনজন বিদেশি এবং জঙ্গলে যুদ্ধের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
কাশ্মীরে এখন খুব কমসংখ্যক স্থানীয় সন্ত্রাসী রয়েছে, যারা সরাসরি নিরাপত্তা বাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার মতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
সূত্র : এনডিটিভি
কেএন/টিএ