দক্ষিণের সুপারস্টার রাম চরণ ও আল্লু অর্জুন। এই দুই অভিনেতার তারকাখ্যাতি শুধু দক্ষিণ ভারতেই সীমাবদ্ধ নেই, বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তারা। অনেকেই হয়তো জানেন যে, রাম চরণ ও আল্লু অর্জুন চাচাতো ভাই। একই পরিবারের।
তবে একটি অধ্যায় রয়েছে যা অনেক ভক্তই হয়তো জানেন না। সেটি এক গোপন প্রেমের অধ্যায়। যা ঘিরে এই দুই ভাই জড়িয়েছিলেন মৌন দ্বন্দ্বে। একসময় অভিনেত্রী নেহা শর্মাকে ঘিরে এই দুই তারকা নাকি বহু বছর একে অপরের সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলেননি!
২০০০-এর নতুন দশকের শুরুর কিছু প্রতিবেদনে অনুযায়ী, আল্লু অর্জুন নেহা শর্মার প্রেমে পড়েছিলেন।
নেহাকে ২০১০ সালে ইমরান হাশমির সঙ্গে ‘ক্রুক’ ছবিতে দেখা গেলেও, বলিউডে আসার আগে তিনি দক্ষিণী ছবিতেই অভিনয় করতেন। শোনা যায়, তখন নেহা ও আল্লু বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন এবং আল্লু তাঁকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি, কারণ গুঞ্জন ছিল রাম চরণ ও নেহা তাঁদের একসঙ্গে করা চিরুথা ছবির সময় ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। এই ছবি ছিল নেহা ও রাম চরণেরও অভিষেক ছবি।
এমনকি জোর গুঞ্জন ছড়ায় যে, রাম চরণ নেহাকে গোপনে বিয়ে করেছেন এবং তাঁরা হানিমুনে গিয়েছেন। নেহার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পেছনে রামের হাত আছে জেনে আল্লু অর্জুন নাকি ভীষণ ধাক্কা খান। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে কথা বন্ধ হয়ে যায়।
তবে রাম চরণ একবার এই গোপন বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে মুখও খুলেছিলেন। তিনি জানান, এসব গুঞ্জন তার জীবনে প্রভাব ফেলছে।
ডেকান ক্রনিকল-কে দেওয়া এক টেলিভিশন চ্যাট শোতে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি একজন বিবাহিত মানুষ এবং এ ধরনের গুজব আমার বিবাহিত জীবনে সমস্যা তৈরি করতে পারে। একজন স্বামী হিসেবে আমার দায়িত্ব এমন পরিস্থিতি তৈরি না করা, যেখানে আমার স্ত্রীকে আমাকে অন্য নারীদের কাছ থেকে রক্ষা করতে হবে। চিরুথা ছিল আমার প্রথম ছবি, আর সেই থেকেই আমার নেহাকে গোপনে বিয়ে ও হানিমুনে যাওয়ার খবর রটতে শুরু করে। আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন, এই মিথ্যা খবরকে গুরুত্ব না দিতে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তখন উপাসনা তাঁর বন্ধু ছিলেন এবং জানতেন যে এগুলো সবই মনগড়া কথা।’ রাম বলেন, ‘উপাসনা ও আমি তখন ভালো বন্ধু ছিলাম, আর সেও জানত যে, এই খবরগুলো পুরোপুরি বানানো। বিয়ের পরও আমরা নিশ্চিত করেছি যে, এই গুজব যেন কখনো আমাদের সম্পর্কে প্রভাব না ফেলে। উপাসনা এখন তাঁর কাজে ব্যস্ত এবং সবকিছুই বোঝে।’
ব্যক্তি জীবনে রাম চরণ ২০১২ সালে উপাসনাকে বিয়ে করেন, আর যুক্তরাষ্ট্রে স্নেহার সঙ্গে পরিচিত হয়ে ২০১১ সালে তাকে বিয়ে করেন আল্লু অর্জুন। দুজনেই এখন সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন এবং সন্তানও রয়েছে। দুজনে একটি সিনেমায় কাজও করেছেন একসঙ্গে। তবে এখনো তাদের মধ্যে আগের মতো ব্যক্তিগত স্বাভাবিক সম্পর্ক নেই বলে বলেই গুঞ্জন রয়েছে দক্ষিণের সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে।
এফপি/ টিএ