সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এখন যে ব্যর্থতা- এর দায়িত্ব ড. ইউনূস স্বাভাবিকভাবে নিতে চাইবেন না। তিনি আর ওন করবেন না। করবেন না বলে এখন চাঁদাবাজির ঘটনা যেগুলো ঘটছে সেখানে কিন্তু অ্যাকশন চালাচ্ছে। এমনকি প্রশাসনে যারা আগে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে যুক্ত ছিল, এখন কিন্তু অটোমেটিকভাবে কোনো ঘোষণা ছাড়াই সেই যুক্ততা কিন্তু বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এর ফলে এনসিপি যথেষ্ট কোণঠাসা হয়ে গেছে। এটা বলাই যায়।
রবিবার (১০ আগস্ট) নামের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তফা ফিরোজ বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনার মধ্য দিয়ে এনসিপি নিজস্ব একটা অবস্থান তৈরি করতে চেয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই জনভিত্তি, সেই সাড়া তৃণমূল পর্যায়ে পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত এনসিপির নেতাদের যত কর্মকাণ্ড, ফেসবুকে তারা যতটা সফল, মাঠ পর্যায়ে সভা-সমাবেশের মধ্য দিয়ে তারা তাদের সেই শক্তিটা জানান দিতে পারেনি। সর্বশেষ গত ৩ আগস্ট দেখা গেল যে ছাত্রদলের শাহবাগের বিশাল সমাবেশের বিপরীতে তারা শহীদ মিনারে খুবই অগোছালো শক্তিহীন একটা সমাবেশ করেছে। এর ফলে আরো কিন্তু তাদের অবস্থানটা ডাউনট্রেন্ড রয়েছে।
তিনি বলেন, ৫ তারিখে হঠাৎ করে তাদের পাঁচজন নেতা ঢাকা ছেড়ে চলে গেলেন কক্সবাজার। একজন নেতা নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী বললেন যে সে সমুদ্রের পাড়ে বসে দল নিয়ে, দেশ নিয়ে, ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করেছেন- এসব কথাবার্তা সাধারণভাবে মানুষ ভালোভাবে নেয়নি বরং এটা দায়িত্ব জ্ঞানহীন হিসেবে মনে করেছে। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ দিনে তাদের ঢাকায় থাকা মানুষের সঙ্গে সেলিব্রেট করা অথবা তারা ভাগ করে পাঁচটা ডিভিশনে যেতে পারতো, সেখানে জনগণের সাথে মিশতে পারতো। কিন্তু সেগুলো কিন্তু হয়নি এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর যেই কথাবার্তা, সারজিসের কথাবার্তা আগে যেমন যতটা গ্রহণযোগ্যতা পেত, এখন কিন্তু পায়নি।
তিনি আরো বলেন, সেই কারণেই সব মিলিয়ে যে এই যে তাদের ডাউনট্রেন্ড, এটার কারণে মাসুদ কামাল বলছিলেন যে এনসিপির সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে গেছে ড. ইউনূস।
যখন দেখছেন যে, না তারা পারছে না- এখন আর তার দায়-দায়িত্ব নিচ্ছে না। কারণ মাসুদ কামালের ভাষায় ড. ইউনূস মূলত তার নিজের স্বার্থে কাজ করেন। অন্য কারো স্বার্থে তিনি কাজ করেন, বিষয়টা তেমন না। যা-ই হোক এটা তার ব্যাখ্যা। তার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত না।
কিন্তু এটা সত্য যে এনসিপির এখন যে ব্যর্থতার দায়িত্ব, এটা কিন্তু ড. ইউনূস স্বাভাবিকভাবে নিতে চাইবে না। তিনি আর ওন করবে না। করবেন না বলে এখন কিন্তু চাঁদাবাজির ঘটনা যেগুলো ঘটছে সেখানে অ্যাকশন চালাচ্ছে। এমনকি প্রশাসনে যারা আগে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে যুক্ত ছিল, এখন কিন্তু অটোমেটিকভাবে কোনো ঘোষণা ছাড়াই সেই যুক্ততা কিন্তু বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর ফলে এনসিপি যথেষ্ট কোণঠাসা হয়ে গেছে। এটা বলাই যায়।