বাংলাদেশের সামনে কঠিন পরিস্থিতি আসছে বলে মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ তারিখে নানা আয়োজন করা হলো। কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষণাপত্র পাঠ করা হলো। চারিদিকে বেশ উল্লাস।
কিন্তু একটা রাজনৈতিক শঙ্কা আছে। নির্বাচন নিয়ে যেমন উচ্ছ্বাস বিএনপির মধ্যে তেমন জামায়াত বা এনসিপির মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।’
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে কি গণতান্ত্রিক আবহ তৈরি হলো? সব ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক দল মত প্রকাশের স্বাধীনতা সেগুলো কি নিশ্চিত হলো? অনেকগুলো প্রশ্নবোধক চিহ্ন সামনে আছে।
তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থার পরিণতি কী হবে? ইতিমধ্যে হেফাজত রাস্তায় নেমেছে, বড় বড় সমাবেশ করছে। নারী বিষয়ক যে কমিশন হয়েছে তার রিপোর্টের বিরোধিতা করেছে। বিভিন্ন পোশাক নিয়ে মতামত দিয়েছে। তারা মনে করে এই পোশাক ধর্মীয় অনুশাসনকে সমর্থন করে না।
যারা শেখ হাসিনার সময় চাপে ছিল তারা এখন বিভিন্নভাবে বহিঃপ্রকাশ করছে। ফলে অনেক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নানা সংগঠন শঙ্কিত যে বাংলাদেশে কি এই সুযোগে উগ্রপন্থার উত্থান ঘটবে? নাকি উগ্রপন্থা সামনে বাড়বে?’
ফিরোজ আরো বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোও বাংলাদেশকে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে চিন্তা করে। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাও যার ওপর ভিত্তি যে বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি। ধর্ম যার যার, অনুষ্ঠান সবার। এই যে মন্ত্র, সেই মন্ত্রটা কি শেষ পর্যন্ত প্রতিফলিত হবে? নাকি উগ্রপন্থার কাছে সবকিছু বিলীন হবে? অন্য ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ বা অন্য সম্প্রদায় তারা কোণঠাসার মধ্যে থাকবে?’
এমকে/টিকে