সততার সঙ্গে এগিয়ে গেলে দেশের সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হবে : তারেক রহমান

প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা এড়িয়ে সাহস এবং সততার সঙ্গে এগিয়ে গেলে বাংলাদেশের সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিশ্ব সমাজে নিজেদের গর্বিত অংশীদারি নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতার বিকল্প নেই উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশ-বিদেশের চলমান বাস্তবতায় বিএনপির আগামী দিনের নীতি—জনগণের জীবনমান উন্নয়নের রাজনীতি। তাই ব্যাপক হারে দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হচ্ছে আমাদের আগামী দিনের রাজনীতি। 

এ জন্য তরুণ যুবশক্তিকে প্রযুক্তিনির্ভর করে দক্ষ জনশক্তিতে কিভাবে রূপান্তর করা যায়—এটি হবে আমাদের রাজনীতির অন্যতম লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা এড়িয়ে সাহস এবং সততার সঙ্গে এগিয়ে গেলে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনার সব দুয়ার উন্মোচিত হবে। বাংলাদেশের জনসংখ্যাই হতে পারে সাফল্য এবং সমৃদ্ধির নিয়ামক। সাধারণভাবে একটা দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি যখন কর্মক্ষম শ্রমশক্তি থাকে সেটি হলো কিন্তু ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড।

এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের বিবেচনায় দেশের বর্তমান জনসংখ্যা দেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে। বয়সের হিসাবে আমাদের জনসংখ্যার অধিকাংশই কিন্তু কর্মক্ষম। শুধু এই জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে আমাদের রূপান্তর করা প্রয়োজন। এ কারণেই বিএনপি মনে করে দেশের জনসংখ্যাকে বিশেষ করে তরুণ এবং যুবশক্তিকে কারিগরি নির্ভর শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে বর্তমান জনসংখ্যা দেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে।

তিনি আরো বলেন, ‘স্লোগাননির্ভর রাজনীতির দিন ফুরিয়ে এসেছে। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বিএনপি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিশ্বাস করে।’ এ ছাড়া দেশের জনগণের শক্তি প্রতিষ্ঠায় সবার সমর্থন প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন তারেক রহমান।

জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিন, দেশ গড়ার সুযোগ দিন। ভোট দিলে ধানের শীষে, দেশ গড়ব মিলেমিশে।

ইউটি/টিএ



Share this news on:

সর্বশেষ

img
মালয়েশিয়া সফর শেষে দেশের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা Aug 13, 2025
img
‘চীনের দুঃখ হোয়াংহো নদী, এনসিপির দুঃখ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী’ Aug 13, 2025
img
জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে জামায়াতের সমাবেশ শুরু Aug 13, 2025
img
বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল হবে কি না, রায় ২ সেপ্টেম্বর Aug 13, 2025
img
দেশে-বিদেশে নির্বাচনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিনিয়োগকারীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন : আমীর খসরু Aug 13, 2025
img
বাগদান ভাঙার পর কীভাবে নিজেকে সামলাচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া? Aug 13, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন : ইসলামী আন্দোলন Aug 13, 2025
img
মেহেরপুর সীমান্তে ৪ জনকে পুশ ইন করল বিএসএফ Aug 13, 2025
img
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার বিশেষ দূতের সঙ্গে বৈঠক করলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা Aug 13, 2025
img
‘টাইটানিক’ ছবির নায়ক কে চিনতেই পারেননি স্প্যানিশ পুলিশ Aug 13, 2025
img
কুয়েতে মদ্যপানের কারণে প্রাণ গেল অন্তত ১০ প্রবাসীর Aug 13, 2025
img
অভিভাবকের মতো আচরণ না করতে হেড কোচকে পরামর্শ দিলেন বাসিত আলী Aug 13, 2025
img
নিজের গড়া বিশ্বরেকর্ড ফের ভাঙলেন ডুপ্লান্টিস Aug 13, 2025
img
দেশে তামাকজনিত রোগে দিনে ৪৪২ জনের মৃত্যু Aug 13, 2025
img
আবারও বাড়ল জেট ফুয়েলের দাম Aug 13, 2025
img
নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ স্কোয়াডে হামজা চৌধুরী, থাকছে না সমিত Aug 13, 2025
img
মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়সসীমা নিয়ে হাইকোর্টের রায় রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট: অ্যাটর্নি জেনারেল Aug 13, 2025
img
ডাকসুতে এবার সবচেয়ে বয়স্ক ভোটার মাহমুদুল হাসান ইউসুফ Aug 13, 2025
img
সিরিয়ার দুই মন্ত্রীর একসঙ্গে তুরস্ক সফর Aug 13, 2025
img
৬০ টাকা কেজির চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ১৫ টাকায় পাওয়া যাবে : খাদ্য উপদেষ্টা Aug 13, 2025