বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন বলেছেন, হল রাজনীতি বন্ধ না করলে ডাকসুসহ সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে ছাত্রদল। এজন্য ষড়যন্ত্র করে হল রাজনীতি বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঠিক তেমনিভাবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যদি জাতীয় নির্বাচন হয়, সেজন্য তারা বিভিন্ন ইস্যু দেখিয়ে পিআর পদ্ধতির কথা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলেন, সংস্কারের কথা বলেন।
গতকাল বিকেলে জেলার পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত জেলা ও সংসদীয় আসন ভিত্তিক প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ৩১ দফায় রাষ্ট্র সংস্কারসহ সব কিছু উল্লেখ করা আছে। এর থেকে বড় সংস্কার আর কী হতে পারে। বিএনপি তো সকল সংস্কারের তথ্য দিয়ে দিয়েছে, আবার সংস্কারের কী দরকার। বাংলাদেশের মানুষের জন্য, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য কোনো রাজনৈতিক দল, কোনো সরকার এখনো নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘোষণা দিতে পারে নাই। একমাত্র বিএনপির তারেক রহমানের পক্ষে সম্ভব হয়েছে।
খাইরুল কবির খোকন বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হারালে আবারো ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি হতে পারে। ২০০৭ সালে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেশ ছাড়া করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তারেক রহমানকে তিনতলা থেকে ফেলে দিয়ে হাড় ভেঙে ফেলা হয়েছিল।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এই যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, বর্তমান সরকারের কিংস পাটি এনসিপি। তারা সরকারে না থেকেও সরকারের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, তারা প্রটোকল পাচ্ছে। তারা ডিসি, এসপি, ওসি এবং বিভিন্ন সরকারি অফিসে গিয়ে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ফাইভ স্টার হোটেল থেকে শুরু করে সবকিছু তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা বলছে সংস্কার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা নির্বাচন হতে দেবে না। আমরা ১৬ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছি জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, জাতীয় নির্বাচনের জন্য। অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ জাতি কখনও নিরাপদ নয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন কমিটির প্রধান সিরাজুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মাশুকুর রহমান মাসুক, সহ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সদস্য কাজী হুমায়ুন কবির, মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট জামিনুল হোসেন মিঠু, মিজানুর রহমান মুরাদ প্রমুখ।
এফপি/এসএন