ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শেখ মুজিবুর রহমান হল সংসদ নির্বাচনের জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) অথবা অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি (এজিএস) পদপ্রার্থী আহমেদ আল সাবাহ তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন; যেখানে তিনি ‘মুজিববাদের কবর রচনা’র কথা বলেছেন। আহমেদ আল সাবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এবং মুজিব হলের আবাসিক) শিক্ষার্থী।
এমন ইশতেহার ঘোষণার কারণ জানতে চাইলে আহমেদ আল সাবাহ বলেন, মুজিববাদ কেবল একটি রাজনৈতিক তত্ত্ব নয়, বরং এটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতা কাঠামো। যা স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী, পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও আওয়ামী লীগীয় ক্ষমতাকেন্দ্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রযন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই মতবাদ রাষ্ট্রকে দলীয়করণ, প্রশাসনে রাজনৈতিক আনুগত্য চাপিয়ে দেওয়া ও ভিন্নমত দমনে ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবের শাসনামলে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, খাদ্যসংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতা, কালোবাজারি, চোরাচালান ও রাজনৈতিক হত্যা সংঘটিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়, যা তার ভাষায়– ‘মুজিববাদের স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী রূপ’।
সাবাহ বলেন, শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলেও এই সংস্কৃতি আরও দৃঢ় হয়, যেখানে গুম, খুন, বিরোধীমত দমন এবং হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। তার দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ মুজিববাদকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করেছে মুজিববাদ জনগণের সার্বভৌমত্ব কেড়ে নিয়ে ব্যক্তিপূজা ও ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান দেখিয়েছে, বাংলাদেশ আর এই মতবাদ মেনে নেবে না। এখন আমাদের দায়িত্ব একে পুরোপুরি সমাধিস্থ করা। তাই এমন ইশতেহার দিয়েছি।
এফপি/ এসএন