চলতি বছরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনায় (জেআরপি) ৯৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থায়ন চাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ৪৫৫ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সভাপতিত্বে রোববার (১৮ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোহিঙ্গা-বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের এক বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান এই তথ্য জানান।
কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল ৯৩৫ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন নিশ্চিত করা। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দাতা সংস্থা এবং রাষ্ট্র থেকে প্রায় ৪৫৫ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা যারা রোহিঙ্গা বিষয়ে কাজ করছেন, তারা তাদের চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার আপডেট প্রদান করেন। পাশাপাশি অর্থায়ন সংকটের ফলে যেসব চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
কামরুজ্জামান বলেন, অংশীজনেরা খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা— এই তিনটি প্রধান জীবনরক্ষাকারী বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। তারা আলোচনা করেন কীভাবে এই তিনটি খাতে প্রভাব পড়তে পারে। রোহিঙ্গা সংকট সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলাসহ অন্যান্য দিক নিয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কামরুজ্জামান বলেন, কক্সবাজারে স্টেকহোল্ডার ডায়ালগ ২৪ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে যেখানে তারা নিজেদের মতামত তুলে ধরবেন। ২৫ আগস্ট মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকালে প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণে একটি সেশন হবে এবং এরপর মোট চারটি বিষয়ভিত্তিক (থিমেটিক) আলোচনা হবে। এই আলোচনাগুলোর সারসংক্ষেপ পরবর্তীতে পৃথক একটি সেশনে তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, এই আলোচনা নিউইয়র্কে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠাতব্য হাই লেভেল কনফারেন্সকে সামনে রেখেই আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনায় উঠে আসা বিষয়গুলো আমরা নিউইয়র্কের সম্মেলনে উপস্থাপন করব। এক প্রশ্নের জবাবে কামরুজ্জামান বলেন, কক্সবাজারের সম্মেলনে অংশ নিতে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নয়টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ঢাকায় সব দূতাবাস, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী কাজ করা সংগঠন এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এতে স্টেকহোল্ডারদের উপস্থিতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
কতটি দেশের প্রতিনিধি এতে অংশ নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু অল্প সময়ে এই আয়োজন করা হয়েছে, তাই এখনো বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। ফলে এখনই অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
ইউটি/টিএ