রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈঠক হবে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ।
এমনকি পুতিন এই বৈঠকে সম্মত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
চ্যান্সেলর মের্জ বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে রাজি করাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
মের্জ জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে পুতিন এই বৈঠকে সম্মত হয়েছেন। তবে বৈঠকের স্থান এখনও নির্ধারিত হয়নি।
তিনি বলেন, “আমরা জানি না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কি এমন শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেওয়ার সাহস রাখবেন কিনা। তাই বোঝানো ও প্ররোচনা প্রয়োজন”। মের্জ নিজে ইউরোপীয় নেতাদের প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে সোমবার ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন জেলেনস্কিকে সমর্থন জানাতে।
মের্জ সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকের এক বিরতির সময় “মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে যে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈঠকে মিলিত হবেন।”
তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প পরে একটি তিন-পক্ষীয় বৈঠকের জন্য আরও একটি আমন্ত্রণ জানাতে সম্মত হয়েছেন, যাতে আলোচনা প্রকৃতভাবে শুরু হতে পারে।
জার্মান চ্যান্সেলরের কথায়, ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের একত্রিতভাবে উপস্থিত হতে দেখে মুগ্ধ হয়েছেন এবং এখন তারা ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা করবেন।
মের্জ বলেন, “সাবলীলভাবে বলতে গেলে, পুরো ইউরোপকে এতে অংশ নিতে হবে।”
এমকে/টিকে