প্রশান্ত মহাসাগরে শক্তিশালী হারিকেন অ্যারিনের আকার আরও বড় হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। হারিকেনটির প্রভাবে জলোচ্ছ্বাশ সৃষ্টির আশঙ্কা থেকে একটি দ্বীপে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টারের আবহাওয়াবিদ রুবি বার্গ এক সতর্কবার্তায় বলেছেন, “পূর্ব আটলান্টিক দিয়ে অগ্রসরমান অবস্থায় অ্যারিন আকারে বড় হবে। যুক্তরাষ্ট্রর পূর্ব উপকূলের সৈকতগুলোতে বিপজ্জনক উল্টো স্রোত বইতে পারে।”
সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, হারিকেনটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূখণ্ডে সরাসরি আঘাত হানবে না। তবে উত্তর ক্যারোলিনার বাইরের অংশের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষকে জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। এতে করে সেখানকার কিছু জায়গার মানুষকে সরে যেতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকালে হারিকেনটি ক্যাটাগরি-২ এ নেমে আসে। এরআগে গত শনিবার হারিকেন অ্যারিন ক্যাটাগরি-৫ এ রূপ নেয়। এরপর এটি দুর্বল হয়। তবে আবহাওয়াবিদরা সতর্কতা দিয়েছেন, হারিকেনটির অবস্থান যে কোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে।
এদিকে হারিকেনটির প্রভাবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে। এই সময়টায় সমুদ্র থেকে দূরে থাকতে সাধারণ মানুষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আটলান্টিক মহাসাগরে চোখ রাঙানো হারিকেন অ্যারিনের ‘চোখ’ বা মূল কেন্দ্র দেখতে গত শনিবার বিমান নিয়ে গিয়েছিলেন একদল হারিকেন হান্টার। তারা সেখানকার ভিডিও করে এনেছেন।
এতে দেখা যাচ্ছে, হারিকেনটির বাইরে অংশে রোদ দেখা যাচ্ছে। এরপর বিমানে করে তারা যে-ই হারিকেনটির ভেতরে প্রবেশ করেছেন, তখন বৃষ্টির পানি বিমানটিতে আছড়ে পড়তে থাকে। এছাড়া বাইরের অংশটি সম্পূর্ণ ঘোলা হয়ে যায়। এ সময় বিমানটি অস্বাভাবিকভাবে কাঁপতেও থাকে।
এই ব্যক্তিরা বিমানটি নিয়ে যখন হারিকেনটির ভেতর প্রবেশ করেন তখন এটির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। ওই সময় এটি সর্বোচ্চ শক্তিশালী ক্যাটাগরি-৫ হারিকেনে পরিণত হয়েছিল।
সূত্র: সিবিএস নিউজ
কেএন/এসএন