ফুটবল দুনিয়ায় এক অনন্য কীর্তি গড়লেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক ফেবিও ডেইভসন লোপেস মাশিয়েল। ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি গোলরক্ষক পিটার শিলটনের দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভেঙে তিনি এখন প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে সর্বাধিক ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়।
ফ্লুমিনেন্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) কোপা সুদামেরিকানার শেষ ষোলোতে কলম্বিয়ান ক্লাব আমেরিকা দে কালিকে ২-০ গোলে হারানোর ম্যাচটি ছিল ফেবিওর ক্যারিয়ারের ১,৩৯১তম ম্যাচ। এর মাধ্যমে তিনি শিলটনের ১,৩৯০ ম্যাচের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছেন।
১৯৯৭ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করা ফেবিও এ পর্যন্ত ব্রাজিলের পাঁচটি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন (উনিয়াও বান্দেইরান্তে, আতলেতিকো পারানাএন্সে, ভাস্কো দা গামা, ক্রুজেইরো ও ফ্লুমিনেন্স)। এর মধ্যে ক্রুজেইরোর হয়ে সর্বাধিক ৯৭৬ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ভাস্কোর হয়ে খেলেছেন ১৫০টি এবং ফ্লুমিনেন্সের হয়ে এ পর্যন্ত খেলেছেন ২৩৫টি ম্যাচ।
রেকর্ডের সংখ্যাটা নিয়ে খানিকটা বিতর্ক আছে।
গিনেস রেকর্ডে শিলটনের ম্যাচ সংখ্যা ধরা হয়েছে ১,৩৯০। কিন্তু শিলটন নিজে দাবি করেন তিনি ১,৩৮৭ ম্যাচ খেলেছেন। ইংল্যান্ড ফুটবল অনলাইনের হিসেবে শিলটনের ১,২৪৯টি ক্লাব ম্যাচ ও জাতীয় দলের হয়ে ১২৫টিসহ মোট ১,৩৭৪টি ম্যাচ খেলেছেন। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব–২৩ দলে তার আরও ১৩ ম্যাচ যোগ করলে দাঁড়ায় ১,৩৮৭।
এ বিতর্ক যাই হোক, ফ্লুমিনেন্সে এখন নিজেদের গোলরক্ষককেই বিশ্বরেকর্ডধারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
৪৪ বছর বয়সী ফেবিও এখনও দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। ২০২২ সালে ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেওয়ার পর তিনি ক্লাবকে এনে দিয়েছেন কোপা লিবার্তাদোরেস শিরোপা, খেলেছেন ক্লাব বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ। এছাড়া ইতালিয়ান কিংবদন্তি জিয়ানলুইজি বুফনের রেকর্ড ভেঙ্গে রেখেছেন ৫০৭তম ক্লিনশিট।
রেকর্ড গড়ার পর আবেগাপ্লুত ফেবিও বলেন, ‘আমি আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সতীর্থ ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
তাদের ছাড়া এই যাত্রা সম্ভব হতো না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দলকে সাহায্য করতে পারা।’
গত মে মাসে ফ্লুমিনেন্স ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে। তখন তার বয়স হবে ৪৬ বছর।
এমআর/এসএন