গাইবান্ধায় শিবির নেতা হত্যার অভিযোগে ওসিসহ ১২ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

গাইবান্ধার সদরের কলেজ ছাত্র ও শিবির নেতা সিজু হত্যার অভিযোগে গাইবান্ধার সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নিহত সিজুর মা রিক্তা বেগম। মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সাঘাটা আমলী আদালতের বিচারক পাপড়ী বড়ুয়া এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদ হাসান খান।

মামলার আসামিরা হলেন সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম, এএসআই রাকিবুল ইসলাম, এসআই মশিউর রহমান, এসআই মহসিন আলী, কনস্টেবল হামিদুল ইসলাম, কনস্টেবল আজাদুল ইসলাম, কনস্টেবল নয়ন চন্দ্র, কনস্টেবল জয় চন্দ্র, এএসআই আহসান হাবিব, পুলিশ কনস্টেবল ধর্ম চন্দ্র বর্মন, এসআই উজ্জ্বল, এএসআই লিটন মিয়া, স্থানীয় যুবক সাব্বির হোসেন, ইউসুফ ও মমিনুলসহ অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জন ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৪ জুলাই বিকেলে গাইবান্ধা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস চত্বর থেকে সিজুকে সাঘাটা থানায় ডেকে নেয় পুলিশ। থানায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নির্যাতনের পর মৃতপ্রায় সিজুকে সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। পরে পুকুরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে ওই পুকুর থেকে সিজুর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

বাদীপক্ষের অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদ হাসান জানান, বাদী পক্ষের আইনজীবীদের শুনানী গ্রহণ করে আদালতের বিচারক পাপড়ী বড়ুয়া মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআিইডকে নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী নিহত সিজুর মা রিক্তা বেগম জানান, আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে । আমি আদালতে মামলা করেছি । ছেলেকে হত্যার বিচার চাই।

নিহত সিজু মিয়া (২৫) গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের বাগুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে এবং গিদারি ইউনিয়ন ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছিলেন ও কঞ্চিপাড়া ডিগ্রী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন ৷ তবে পুলিশের দাবি, গত ২৪ জুলাই রাতে ধারালো ছুরি হাতে থানায় ঢুকে পুলিশের এএসআই মহসিন আলীসহ দুই পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে পুকুরে ঝাঁপ দেয় সিজু মিয়া। পরদিন পুকুরের কচুরিপানার মধ্য থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অজ্ঞাতনামা হিসেবে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে।

ইউটি/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গোলাম রাব্বানীর পদ ও ডিগ্রি বাতিলের দাবি রাশেদ খানের Aug 22, 2025
img
তারেক রহমান ফিরবেন, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীও হবেন : এ্যানি Aug 22, 2025
img
আওয়ামী লীগ নেত্রী রুনু গ্রেপ্তার Aug 22, 2025
img
সালমান-বরুণের অদেখা দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন রবি ছাবরিয়া Aug 22, 2025
img
দর্শকদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা আনছে ম্যাডক ফিল্মস Aug 21, 2025
img
ওইদিনই সব শেষ করে দিয়েছি : অপু বিশ্বাস Aug 21, 2025
img
চার তেল কোম্পানি-ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্রিটেনের নিষেধাজ্ঞা Aug 21, 2025
img
সোমবার পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে পারবে না প্রার্থীরা Aug 21, 2025
img
পেট্রোবাংলায় অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান Aug 21, 2025
img
মার্কিন আদালত বাতিল করলো ট্রাম্পের ৪৬ কোটি ডলার জরিমানা Aug 21, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচিত ব্যক্তি সম্পর্কে জনগণের জানার সুযোগ নেই: তারেক রহমান Aug 21, 2025
img
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশি অভিনেতা মিলন Aug 21, 2025
img
কিশোরগঞ্জে যুবলীগ নেতা লিটন গ্রেফতার Aug 21, 2025
img
চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন নজরুল ইসলাম খান Aug 21, 2025
img
শাকিব খানের সঙ্গ পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৌসিফ মাহবুব Aug 21, 2025
img
জয়পুরহাটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আ. লীগ নেতা স্বাধীন মাস্টার গ্রেপ্তার Aug 21, 2025
img
দেশে একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল Aug 21, 2025
img
‘হাসিনার নেতৃত্বে সব গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করেছে আ.লীগ’ Aug 21, 2025
img
ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধের মেয়াদ বৃদ্ধি করলো পাকিস্তান Aug 21, 2025
ফর্মে ফিরতে মরিয়া সাকিব, কিন্তু ব্যাটে কেন নেই জবাব? Aug 21, 2025