শেখ রাসেল জাতীয় শিশুকিশোর পরিষদ ঢাকা জেলার সাবেক সভাপতি, ঢাকা জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সম্পাদিকা এবং দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য শেখ সাজেদা ইসলাম রুনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ তারিখ) সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, তিনি ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ৫০তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে নিজ এলাকায় গণভোজের আয়োজন করেন।
রুনু দোহার উপজেলার খালপাড় এলাকার সামসুল ইসলাম খোকনের মেয়ে।
থানা ব্যারাকে নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণ, তিনজন ক্লোজড
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্টের পর হতে রুনু তার ফেসবুকে লাইভে এসে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এতে সে রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে বলে মনে করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালনের জন্য দোহারে তার বাড়িতে নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা ও তোবারক বিতরণের ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল করেন রুনু। এসব দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আটক করতে কঠোর নজরদারিতে রাখে। পরে কেরানীগঞ্জ থেকে র্যাব আটক করে দোহার থানায় সোপর্দ করে।
কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের এক নেত্রী বলেন, রুনু মূলত উচ্ছৃঙ্খল টাইপের। একটি চক্রের সঙ্গে মিশে তিনি রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা ছড়াত। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে যা করার সবই করেছে। তার কোনো চাকরি বা আয়ের উৎস নেই; কিন্তু ঢাকা শহরে আলিশান ফ্ল্যাট বাসায় থাকেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা দোহার-নবাবগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সখ্যতার কারণেই সে গত ৭ বছরে রাজনীতিতে ভাইরাল হয়। তার চলাফেরায় দল ও নেতারা অনেক সময়ই বিব্রত হতো। বহু নেতার সঙ্গে তার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয়েছে।
এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী এক গণমাধ্যমকে বলেন, আটক রুনুকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় হওয়া হামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনেও মামলা রয়েছে। শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে।
এমকে/টিএ