রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন না হলে আবার স্বৈরাচার তৈরি হবে: এটিএম আজহারুল ইসলাম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ও বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, শুধু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালা বদলের জন্য জুলাই আন্দোলন হয়নি। দেশের রাজনীতির একটা গুণগত পরিবর্তন হতে হবে। তা না হলে দেশে আবার হাসিনার মতো স্বৈরাচার তৈরি হবে। সংস্কার কমিশন যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তার আইনি ভিত্তি দিতে হবে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে রংপুরের বদরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও ইউনিটের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিল, আওয়ামী লীগ পালায় না, অথচ তারা ভাত-মাছ রান্না করে না খেয়ে পালিয়েছে। সে যে দেশ থেকে এসেছিল, সেই ভারতে চলে গেছে। জামায়াতে ইসলামীর ওপর ১৭ বছর ধরে জুলুম, হত্যা, গুম, খুনসহ আওয়ামী লীগ সব নির্যাতন চালিয়েছে। কিন্তু আমাদের একজন নেতাকর্মীও দেশ ছেড়ে পালায়নি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল। জামায়াত তার বিরোধিতা করেছিল, যার কারণে আওয়ামী লীগ জামায়াতের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল। তারপরও জামায়াতের নেতাকর্মী কমেনি, বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। অত্যাচার করলে ইসলামী আন্দোলন বৃদ্ধি পায়, কমে না।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের টাকার বিনিময়ে কেনা যায় না। এটা আওয়ামী লীগ ভালোভাবে জানতো, এজন্য জামায়াতের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছিল। আগামী নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জামায়াত ইসলামী সমাজ কায়েম করতে চায়।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর বদরগঞ্জ উপজেলা নায়েবে আমির শাহ মুহাম্মদ রুস্তম আলী, সেক্রেটারি মাওলানা মেনহাজুল, কাজী আব্দুল মাবুদ ও মাওলানা মাহফুজ বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির মাওলানা কামারুজ্জামান।

কেএন/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাশিয়াকে আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প Aug 23, 2025
img
ভারত সফরে আসছে আর্জেন্টিনা, খেলবেন মেসি Aug 23, 2025
img
গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু, সৌদির কড়া প্রতিক্রিয়া Aug 23, 2025
img
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ব্যর্থ, ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ Aug 23, 2025
img
'ভারত এখন বুঝেছে, চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা কেন দরকার' Aug 23, 2025
img
নতুন করে মহাবিপদের মুখে পড়তে যাচ্ছে ইরান Aug 23, 2025
img
নতুন ফুটবলার কিনতে কারো বিদায়ের অপেক্ষায় নয় ম্যানইউ: আমুরি Aug 23, 2025
img
চট্টগ্রামে ফেনসিডিল কাণ্ডে এসআই কামাল প্রত্যাহার Aug 23, 2025
img
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জিরোটলারেন্স নীতিতে এগোচ্ছে পুলিশ Aug 23, 2025
img
সৌদিতে প্রবাসীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় নতুন পেনশন-সঞ্চয় উদ্যোগ Aug 23, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের নির্বাচন হওয়া উচিত: নুরুল হক Aug 23, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজে আগুন, একই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ Aug 23, 2025
img
হামাস যুদ্ধবিরতি মানলেও গাজা দখল করব : নেতানিয়াহু Aug 23, 2025
img
পেনাল্টি মিসের পরও জয় দিয়ে শুরু পিএসজির Aug 23, 2025
img
পুশ ইন নিয়ে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের মন্তব্য Aug 23, 2025
img
নিউইয়র্কে পর্যটকবাহী বাস উল্টে প্রাণ গেল ৫ জনের Aug 23, 2025
img
বৃষ্টিতেও দূষণমুক্ত নয় ঢাকার বাতাস Aug 23, 2025
img
বিএনপি ক্ষমতায় এলে মানুষ জীবনের নিরাপত্তা ফিরে পাবে : আলী নেওয়াজ Aug 23, 2025
img
ওয়েস্ট হ্যামের বিরুদ্ধে বড় জয় পেল চেলসি Aug 23, 2025
img
জয়া বচ্চনের হুট-হাট রেগে যাওয়ার কারণ জানালেন অভিষেক-শ্বেতা Aug 23, 2025